দেশ বিভাগে ফিরে যান

মার্চে ১৪.৫৫ শতাংশ, গত চার মাসে শিখরে পাইকারি বাজারের মুদ্রাস্ফীতি

April 18, 2022 | 2 min read

ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক সংকট। মূল্যবৃদ্ধির দৌরাত্ম্যে নাজহাল সাধারণ মানুষ। অর্থনীতি সংক্রান্ত দেশের একাধিক তথ্য-পরিসংখ্যান এবং সমীক্ষাতেও উঠে আসছে সেই ইঙ্গিত। চলতি বছরের মার্চে পাইকারি বাজারদর সংক্রান্ত সূচক অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ফেব্রুয়ারির ১৩.১১ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪.৫৫ শতাংশে পৌঁছেছে। যা বিগত চার মাসে সর্বোচ্চ। আজ ১৮ই এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রক তরফে প্রকাশিত তথ্যে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

বিগত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের মার্চে পাইকারি বাজারের মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৭.৮৯ শতাংশ। কিন্তু বিগত বারো মাস যাবৎ একটানা দেশের পাইকারি বাজারের মুদ্রাস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে রয়েছে।

গত ১২ই এপ্রিলে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, খুচরো বাজারের মুদ্রাস্ফীতির হার গত মাসে ৬.৯৫ শতাংশ ছুঁয়ে বিগত ১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে৷ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত হিসেবেই খুচরো ও পাইকারি বাজারের মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিচ্ছে। উৎপাদকেরা, ক্রেতাদের কাছে মূল্য বাড়ানোর কারণেই এমনটা হচ্ছে। সে কারণে মার্চ মাসে পাইকারি বাজারের মুদ্রাস্ফীতির রেকর্ড বৃদ্ধি হয়েছে। যেগুলো খাদ্যদ্রব্য নয়, তাদের মূল্য বৃদ্ধিও এই মুদ্রাস্ফীতির কারণ।

বাণিজ্য মন্ত্রকের কথায়, ‘২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল, মৌলিক ধাতু ইত্যাদির সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে যার ফলে মার্চে মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি পেয়েছে।’

জ্বালানি ও শাক্তি সংক্রান্ত জিনিসের পাইকারি মূল্য সূচক মার্চ মাসেই ৫.৬৮ শতাংশ বেড়েছে, অন্যদিকে এই একই সময়ের মধ্যে উৎপাদিত পণ্যের ক্ষেত্রে ২.৩১ শতাংশ বেড়েছে। খাদ্য সূচক অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে ০.৫৪ শতাংশ বেড়েছে। মার্চ মাসে, মাস প্রতি মাস বৃদ্ধি অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে ০.০৬ শতাংশের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ৷

সামগ্রিকভাবে, পাইকারি বাজারের সমস্ত-পণ্য সূচক ফেব্রুয়ারির ০.৭৬ শতাংশের তুলনায় মাস প্রতি মাসে মার্চে ২.৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিত বহন করে। রাশিয়া- ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি নয় এমন দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন, পৃথিবীর অন্যতম দুই প্রধান গম রপ্তানিকারক দেশ। গমের মূল্য সংক্রান্ত সূচকে দেখা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে দাম ৩.১৯ শতাংশ বেড়েছে। যার ফলে গমের মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ফেব্রুয়ারির ১১.০৩ শতাংশ থেকে বেড়ে মার্চে ১৪.০৪ শতাংশে পৌঁছেছে।

বলাইবাহুল্য খুচরো ও পাইকারি, দুই বাজারের রেকর্ড হারে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধিই প্রমান করে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ক্রমেই সাধ্যাতীত হয়ে পড়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Nirmala Sitharaman, #Economy, #inflation, #India

আরো দেখুন