সময়ের দাবি: ধর্মীয় শোভাযাত্রাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন

বিশ্ব দ্রুত এগিয়ে চলেছে, আর অন্যদিকে আমরা এখনও সেই এক ধর্মীয় সমস্যা এবং নিরাপত্তাহীনতার সঙ্গে লড়াই করে, একটার পর একটা দিন অতিবাহিত করছি। এই মায়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে সমাজের সব ক্ষেত্রে মানুষকে একযোগে কাজ করতে হবে।

April 18, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

একটা সময় ছিল যখন উৎসব মানেই ছিল একরাশ আনন্দ। সেই সময় ধর্মীয় শোভাযাত্রাগুলির নিজস্ব এক ধরনের আকর্ষণ ছিল। আধ্যাত্মিকতার স্বাদ পাওয়া যেত এই মিছিলে। ধর্মীয় প্রার্থনা, ভজন, কীর্তন, ঐতিহ্যবাহী নৃত্য এবং আধ্যাত্মিক সঙ্গীতের মাধ্যমে ঈশ্বরের সঙ্গে যেন সংযোগ স্থাপন করা যেত।

হাল আমলে ধর্মীয় মিছিলগুলির বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে। কর্কশ লাউডস্পিকার, রাজনৈতিক স্লোগান ইত্যাদির ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সব অনাচারের পাশাপাহী শুরু হয়েছে রেষারেষি। “আমার ঈশ্বর তোমার ঈশ্বরের চেয়ে মহান” এমনটা প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে। নিজের আরাধ্য ঈশ্বরের এই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চেষ্টায় সিনেমার নাচ, গানও ব্যবহার করা হচ্ছে।

শহরগুলো ক্রমেই জনবহুল হয়ে পড়ছে, ভিড়-যানজট বেড়েই চলেছে। গাড়ির পরিমান বাড়ছে, ট্র্যাফিক দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায়, হাল আমলের গজিয়ে ওঠা এই ধর্মীয় মিছিলের ট্রেন্ড কতদিন চলতে পারে? এই ধরনের ধর্মীয় শোভাযাত্রারগুলো নিয়ন্ত্রণ করা কি রাষ্ট্রের কর্তব্য নয়? ধর্মীয় মিছিলের অনুমতি দেওয়া এবং জনজীবনের সচল থাকা সুনিশ্চিত করা; এই দু’য়ের মধ্যে ভরসাম্য নিয়ন্ত্রণ করাই রাষ্ট্রের কাজ।

একদিকে যখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানব সভ্যতাকে উৎকর্ষের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে, তখন ধর্মীয় ভেদাভেদের কারণে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা সৃষ্টি হওয়া অবাঞ্ছনীয়। প্রশাসনের কর্তব্য এই ধরনের ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করা। যাতে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে যায়। নাগরিক জীবনও যেন ব্যাহত না হয়।

ধর্মের নামে যদি কোনও আইন লঙ্ঘিত হয়, শক্ত হাতে তা দমন করতে হবে। বিশ্ব দ্রুত এগিয়ে চলেছে, আর অন্যদিকে আমরা এখনও সেই এক ধর্মীয় সমস্যা এবং নিরাপত্তাহীনতার সঙ্গে লড়াই করে, একটার পর একটা দিন অতিবাহিত করছি। এই মায়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে সমাজের সব ক্ষেত্রে মানুষকে একযোগে কাজ করতে হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen