লক্ষ্য ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভরতা, তৈরি হচ্ছে নতুন ২ ফার্ম

এ ব্যাপারে আর্থিক অনুমোদন ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে। দপ্তর সূত্রে খবর, সেই টাকা দেওয়া হবে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের হাতে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর ফার্ম তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করবে।

April 20, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ডিম উৎপাদনে বাংলাকে স্বনির্ভর করে তুলতে হবে, সম্প্রতি এই বার্তাই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বার্তাকে মাথায় রেখে ডিম উৎপাদনের হার বাড়াতে দু’টি নতুন ফার্ম তৈরি হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী ও পুরুলিয়ার গোবিন্দপুরে এই ফার্ম দু’টি তৈরি হবে বলে দপ্তর সূত্রে খবর। এ ব্যাপারে আর্থিক অনুমোদন ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে। দপ্তর সূত্রে খবর, সেই টাকা দেওয়া হবে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের হাতে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর ফার্ম তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করবে।

পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দু’টি ফার্ম মিলিয়ে দৈনিক সাড়ে পাঁচ লক্ষ ডিম উৎপাদিত হবে, যা রাজ্যে ডিমের দৈনিক চাহিদা অনেকটাই মেটাতে সক্ষম হবে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে যে ফার্মটি তৈরি হয়েছে, তাতে প্রতিদিন ৩ লক্ষ ডিম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা রাখা হয়েছে। এই ফার্মটি তুলনামূলকভাবে বড়। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার গোবিন্দপুরে আরেকটি ফার্ম তৈরি হচ্ছে। সেখানে দৈনিক প্রায় আড়াই লক্ষ ডিম উৎপাদিত হবে। দু’টি নতুন ফার্ম মিলিয়ে মাসে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ডিম পাওয়া যাবে। এর ফলে ডিমের জন্য ভিন রাজ্যের উপর ভরসা অনেকটাই কমবে।

পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ফার্মটি তৈরি করতে প্রায় ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রায় ৩৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পুরুলিয়ায় অপর ফার্মটি প্রস্তুত করা হবে। দু’টি প্রকল্পের টাকারই অনুমোদন হয়েছে। তবে ফার্ম তৈরির প্রস্তাব এখনও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরে পৌঁছয়নি বলে দপ্তর সূত্রে খবর। মন্ত্রী সন্ধ্যারাণী টুডু জানিয়েছেন, ওই এলাকায় ডিমের চাহিদা রয়েছে। সেই চাহিদা যথাযথভাবে মেটাতেই নতুন ফার্ম তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দপ্তরই এই গোটা প্রকল্পের ব্যয়ভার গ্রহণ করেছে। তবে ফার্ম তৈরির কাজ করবে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর। অন্যদিকে, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, ২০১১ সালের পর থেকে তৃণমূলের শাসনকালে রাজ্যে ডিম উৎপাদন প্রায় ১৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, শালবনী ও গোবিন্দপুরে দু’টি ফার্ম তৈরি হয়ে গেলে বছরখানেকের মধ্যেই ডিম উৎপাদনে রাজ্য অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen