তৈরি প্রথম সেতু, মেরিন ড্রাইভ ধরে এবার কম সময়ে যাওয়া যাবে তাজপুর থেকে দিঘা

যার ফলে তাজপুর থেকে দিঘা যেতে আর ধরতে হবে না জাতীয় সড়ক বা ঘুরতে হবে না রামনগর হয়ে। কমবে অন্তত ১৫ কিলোমিটার পথ। ফেনিল সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পৌঁছে যাওয়া যাবে তাজপুর থেকে দিঘা।

April 24, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দরকে পাখির চোখ করেই বিনিয়োগ টানতে উদ্যোগী সরকার। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পেও জোয়ার আনতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য। এই অবস্থায় সুখবর এল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প দিঘার সৈকত সরণি নিয়ে। এই মেরিন ড্রাইভ তৈরির ক্ষেত্রে শেষ হয়েছে চম্পা খালের উপর ন্যায়কালীতে সেতুর কাজ। যার ফলে তাজপুর থেকে দিঘা যেতে আর ধরতে হবে না জাতীয় সড়ক বা ঘুরতে হবে না রামনগর হয়ে। কমবে অন্তত ১৫ কিলোমিটার পথ। ফেনিল সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পৌঁছে যাওয়া যাবে তাজপুর থেকে দিঘা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২০১৭ সালে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের শৌলা এলাকার আগে থেকে জলদা, মন্দারমণি, তাজপুর হয়ে দিঘা পর্যন্ত সমুদ্রের পাড় ধরে তৈরি করা হচ্ছে এই মেরিন ড্রাইভ। এই সড়ককে জুড়তে প্রয়োজন তিনটি ফ্লাইওভারের। একটি হল ন্যায়কালী এলাকায়, অপরটি জলদায়, আর তৃতীয় সেতুটি শৌলার কাছে পিছাবনি নদীর উপর তৈরি হচ্ছে। ন্যায়কালীতে সেতুর দৈর্ঘ্য হল ৩৮৭.৯৩ মিটার। জলদা ও শৌলায় সেতুর মাপ হল ৬০৮.৯৬ মিটার এবং ৭১৬.২৮ মিটার। তিনটি সেতুর মোট মাপ ১৭১৩.১৬ মিটার। আর অ্যাপ্রোচ রোড বা তিনটি সেতুর সংযোগকারী রাস্তা ২৬৫১.৩২ মিটার।

মুখ্যমন্ত্রী কয়েক মাস আগেই খোঁজ নিয়েছিলেন এই প্রকল্পের। নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেটি দ্রুত রূপায়ণের। সেই অনুযায়ী চলতি বছরের দুর্গাপুজোর আগেই এই কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধেছিল রাজ্য পূর্তদপ্তর। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং সম্প্রতি শেষ করা হয়েছে ন্যায়কালী এলাকার সেতুর (তিনটির মধ্যে প্রথম) কাজ। শেষ হয়েছে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজও। এই সেতুটি উদ্বোধনের করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও নবান্ন সূত্রে খবর।

ন্যায়কালী এলাকায় সেতুটি তৈরি হওয়ার আগে পর্যটক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে তাজপুর থেকে দিঘা পৌঁছতে পেরতে হতো প্রায় ১৮ কিলোমিটার পথ। এই সেতুটি চালু হলে তাজপুর থেকে দিঘা পৌঁছতে লাগবে মাত্র কয়েক মিনিট। এতে যেমন সুবিধা হবে পর্যটকদের, তেমনই তাজপুর বন্দর তৈরি হলে মিলবে বাড়তি সুবিধা। পূর্তদপ্তরের আধিকারিকদের মতে, পর্যটকদের জন্য দিঘায় একাধিক প্রকল্প নিয়েছে সরকার। তাতে বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা। কিন্তু মেরিন ড্রাইভ তৈরি হয়ে গেলে পূর্ব মেদিনীপুরের পর্যটন শিল্প এক নতুন মাত্রায় পৌঁছবে। এই প্রকল্পের ফলে মন্দারমণি থেকেও মেরিন ড্রাইভ ধরে সৌন্দর্যের স্বাদ নিতে নিতে সরাসরি পৌঁছনো যাবে দিঘায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen