দেশ বিভাগে ফিরে যান

আদালতে জামিন খারিজ, আত্মসমর্পণ লখিমপুর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আশিস মিশ্রর

April 24, 2022 | 2 min read

সুপ্রিম কোর্ট জামিন খারিজ করে দেওয়ার ৬ দিন পর আত্মসমর্পণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে তথা লখিমপুর খেরি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আশিস মিশ্র। আশিসকে আত্মসমর্পণের জন্য ৭ দিনের সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার শেষ হচ্ছে সেই সময়সীমা। তবে তার একদিন আগেই লখিমপুর জেলা সংশোধনাগারে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন আশিস।

প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের বিক্ষোভ চলাকালীন আশিস মিশ্রর গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় চার কৃষকের। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান প্রতিবাদীরা। চলে গণপিটুনিও। সেই হিংসাত্মক পরিস্থিতির মাঝে পড়ে প্রাণ হারান আরও ৪ জন। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির (Ajay Mishra) ছেলে আশিস মিশ্র মনু। ওই মামলায় পুলিশের দেওয়া চার্জশিটেও মূল অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয় আশিসকে।

গত ৯ অক্টোবর মূল অভিযুক্ত আশিস মিশ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকে জেলেই ছিলেন তিনি। প্রায় চারমাস বাদে গত ১০ ফেব্রুয়ারি এলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চ তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। ফলে চারমাস বাদে জেল থেকে বেরিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের প্রচারও করেছেন আশিস মিশ্র। ওই ঘটনায় নিহত তিন কৃষকের পরিবার আশিসের জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতেই গত ১৮ এপ্রিল আশিস মিশ্রের জামিন খারিজ করে দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে বিজেপি নেতাকে ৭ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশও দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, আশিস মিশ্রকে জামিন দেওয়ার সময় এলাহাবাদ হাই কোর্ট বেশ কিছু বিষয় উপেক্ষা করেছে। তাই নতুন করে ওই মামলার শুনানি করতে হবে। তবে, আশিস আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার আগেই আত্মসমর্পণ করলেন।

প্রসঙ্গত, লখিমপুরের (Lakhimpur Kheri) কৃষক হত্যায় আশিস মূল অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি এখনও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। এমনকী তাঁর বাবা অজয় মিশ্র টেনিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্তও করা হয়নি। বলা ভাল, গোটা ঘটনায় আশিস এবং অজয়ের পাশেই ছিল দল। এমনকী জামিনে মুক্ত হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচারও করেছেন আশিস।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Lakhimpur Kheri Violence, #Lakhimpur Kheri

আরো দেখুন