দেশের অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১৬ হাজার! উদ্বেগ
মহামারীর চতুর্থ ঢেউ দেশে আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত মিলেছে আগেই। গত কয়েকদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফেই লুকিয়ে ছিল অশনি সংকতে। তবে সোমবার, সপ্তাহের প্রথম দিন দেখা গেল, রবিবারের তুলনায় সামান্য কমল সংক্রমণ, মৃত্যু। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী,দেশে একদিনে করোনা (Coronavirus)আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৪১ জন। রবিবার যা ছিল ২৬০০ ছুঁইছুঁই। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের, রবিবার মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৪। রবিবারের তুলনায় তাই সোমবারের করোনা পরিসংখ্যান খানিকটা স্বস্তিদায়ক।
কেন্দ্রের করোনা পরিসংখ্যান ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাচ্ছে, বেড়েছে পজিটিভিটি রেট। এই মুহূর্তে তা ০.৮৪ শতাংশ। অ্য়াকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫২২। রবিবারও যা ছিল ১৫ হাজার ৮৭৩। একদিনে মহামারীর কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৮৬২, শতকরা হিসেবে যা ৯৮.৭৫ শতাংশ। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লি, মহারাষ্ট্রের ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ। এছাড়া কর্ণাটক ও বাংলার পরিস্থিতি নিয়েও সতর্কবার্তা দিয়েছে কেন্দ্র। তবে এ রাজ্যে মোটের উপর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে করোনা পরিস্থিতি। টানা বেশ কয়েকদিন মৃত্যুহীন থাকার পর শনিবার ১ জনের প্রাণহানির খবর মিললেও, রবিবার ফের মৃত্যুহীন বাংলা।
শুধু এই তিন-চার রাজ্য়ই নয়। রাজস্থান, পাঞ্জাব, কেরল, তামিলনাড়ুর করোনা পরিস্থিতি কেন্দ্রকে চিন্তায় রাখছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে চলছে টিকাকরণ। জোড়া ডোজ দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ। এবার বুস্টার এবং প্রিকশন ডোজের উপর জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ইতিমধ্যে প্রায় ১৮৭ কোটি ৭২ হাজার ডোজ দেওয়া হয়েছে দেশবাসীকে। ওমিক্রনের নয়া প্রজাতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়াতে বুস্টার ডোজ কার্যকরী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।