লাগামহীন করোনা সংক্রমণ, কার্ফু জারির পথে দিল্লি
ফের ফিরতে চলেছে ভয়াবহ দিন? করোনা আতঙ্কে এবার নতুন করে দিল্লিতে জারি করা হতে পারে কার্ফু (Curfew In Delhi)। উত্তোরত্তর সংক্রমণ বৃদ্ধি যেন সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Delhi Chief Minister Arvind Kejriwal)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামী তিন থেকে পাঁচদিন রাজধানীর কোভিড পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হতে পারে। যদি করোনা পজিটিভিট রেট দিল্লিতে পাঁচ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায়, সে ক্ষেত্রে নতুন করে কার্ফু জারি করা হতে পারে শহরে। তবে এখনই সমগ্র দিল্লিতে নয়, ভাগে ভাগে কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করে এই কার্ফু জারি করা হতে পারে বলেই খবর প্রশাসন সূত্রে।
দিল্লি স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তেই রাজধানী শহরে কার্ফু জারি করে দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা না বাড়ছে ততক্ষণ কার্ফু জারির পক্ষে মত নেই অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের। তবে কেবলমাত্র দিল্লিই নয়, গোটা দেশেই এই মুহূর্ত উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা বেশি। ফলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা কম। দিল্লিতে মোট আক্রান্তের কেবলমাত্র ২-৩ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কোনওরকম বিধিনিষেধ জারি না করেও কেবলমাত্র সতর্কতা অবলম্বন করে এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব বলেই মত একাধিক চিকিৎসকের।
এদিকে, দিল্লিতে মাস্ক ফের বাধ্য়তামূলক (Mask Must) করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাটে মাস্ক ছাড়া ঘুরলেই ৫০০ টাকা জরিমানার নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। চারচাকার গাড়িতে একাধিক ব্যক্তি থাকলে এবং তাঁদের কারও মুখে মাস্ক না থাকলেও জরিমানা করতে পারবে দিল্লি পুলিশ।
সোমবার দিল্লিতে ১ হাজার ১০০ শীরে থাবা বসিয়েছিল করোনাভাইরাস (Coronavirus)। পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate) বেড়ে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়েছে, ৪.৪৮ শতাংশ।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৮৩ জন। এই মুহূর্তে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৬৩৬ জন। এদিকে, আতঙ্ক বাড়াল দেশে একদিনের মৃত্যুর পরিসংখ্যান। কেন্দ্রের বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১৩৯৯ জনের। এদিকে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের মধ্যে ০.৪ শতাংশ এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন। দেশে বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ।