সিএবিতে সৌরভের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারের বৈঠক ঘিরে জল্পনা
ঘড়ির কাঁটা সবে সাড়ে পাঁচটা পেরিয়েছে। তীব্র দাবদাহ কাটিয়ে সন্ধ্যের দিকে পা বাড়াচ্ছে ময়দান। আচমকা সিএবিতে (CAB) দেখা গেল ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) এক শীর্ষ কর্তাকে। কোনও লাল-হলুদ সমর্থক থাকলে নিশ্চয়ই অবাক হয়ে যেতেন। এই শীর্ষকর্তা যে রাজ্য ক্রিকেটের সদর দপ্তরে আসেন না তা নয়, কিন্তু এইসময় সিএবিতে তাঁকে দেখার পর অনেক সমীকরণই তৈরি হচ্ছে। হঠাৎ কেন এলেন লাল-হলুদ ওই কর্তা? কোনও বিশেষ কারণে? ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা যখন সিএবি থেকে বেরোলেন, তখন ঘড়ির কাঁটা সাড়ে ৬টা। সিএবি-তে বোর্ড (BCCI) সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সঙ্গে প্রায় ১ ঘণ্টা বৈঠক করলেন সেই কর্তা। সেই কর্তা আর কেউ নন, তিনি দেবব্রত সরকার (Debabrata Sarkar)। সঙ্গে ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের আর এক কর্তা সদানন্দ মুখোপাধ্যায়। বোর্ড সভাপতির সঙ্গে ঠিক কী নিয়ে বৈঠক করলেন লাল-হলুদের শীর্ষ কর্তা, তা কিন্তু তিনি খোলসা করেননি। শুধু বললেন, ‘একান্তই ব্যক্তিগত কারণে সৌরভের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।’
লাল-হলুদ কর্তা ‘ব্যক্তিগত ব্যাপার’ বললেও ময়দান কিন্তু অন্য সমীকরণ খুঁজছে। দু’বছর আগে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার সময় সৌরভের একটা ভূমিকা ছিল। এমন কি মহারাজ সে সময় বলেওছিলেন, ‘মোহনবাগান আইএসএল খেলবে, ইস্টবেঙ্গল খেলবে না, তা তো হয় নাকি!’ শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সংযুক্তিতেও সৌরভের খানিকটা অবদান ছিল বলে শোনা যায়।
এ বছরও ইনভেস্টর ইস্যু এখনও পরিষ্কার হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। বেশ কয়েকটি স্পনসর বা ইনভেস্টরের নাম ঘোরাফেরা করছে। তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপ। ভুললে চলবে না, বাংলাদেশেও সমান জনপ্রিয় সৌরভ। ইস্টবেঙ্গলে নতুন ইনভেস্টর ইস্যুতে ‘পুরোহিত’ হতেই পারেন মহারাজ। ময়দান কিন্তু দুইয়ে-দুইয়ে চার হওয়ার অঙ্ক গোনা শুরু করে দিয়েছে।