যে পথ দিয়ে এসেছেন…ফিরে যান, তালড্যাংরায় নির্যাতিতা পরিবারের বিক্ষোভের মুখে শুভেন্দু
বাঁকুড়ায় তালড্যাংরায় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ খোদ নির্যাতিতার পরিবারই তাঁকে গ্রাম থেকে চলে যেতে বলে৷ শুভেন্দুকে দেখেই পরিবারের লোকজন বলে ওঠেন, যে পথ দিয়ে এসেছেন, সেই পথ দিয়েই ফিরে যান৷ তাঁদের বুঝিয়েও শান্ত করতে ব্যর্থ হন শুভেন্দু৷ শেষমেশ ফিরে যেতে বাধ্য হন বিরোধী দলনেতা৷ তবে ঘটনার দায় তিনি পুলিসের ঘাড়েই চাপান৷
রবিবার সকালে সাইকেলে করে কম্পিউটার শিখতে যাচ্ছিলেন আদিবাসী ছাত্রী৷ আমডাংরা জঙ্গলের রাস্তায় একা পেয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় তিন-চারজন যুবক৷ সাইকেল থেকে ছাত্রীকে টেনে জঙ্গলে নিয়ে যায় তারা৷ অভিযোগ, হাত-পা বেঁধে মারধর করে ওই যুবকরা৷ তবে স্থানীয়দের রাস্তা দিয়ে যেতে দেখে মেয়েটিকে ওই অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা৷ এরপর জঙ্গলের ভিতর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
বুধবার কয়েকজন বিধায়ককে নিয়ে শিমুলডাঙা গ্রামে সেই নির্যাতিতার বাড়ি যান শুভেন্দু অধিকারী৷ সঙ্গে ছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ৷ কিন্তু শুভেন্দুকে দেখা মাত্র তেড়ে যান নির্যাতিতার পরিবার৷ বিরোধী নেতার মুখের উপর বলে দেন, ‘পুলিসের উপর তাঁদের আস্থা আছে৷ কিছু জানার থাকলে পুলিসের কাছে যান৷ পুলিসের সঙ্গে কথা বলুন৷ এখানে রাজনীতি করার কোনও দরকার নেই৷’ শুভেন্দু অবশ্য তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু নির্যাতিতার পরিবার কোনও কথা না শুনেই তাঁকে বলেন, ‘যে পথ দিয়ে এসেছেন সেই পথ দিয়েই ফিরে যান৷’
বাধ্য হয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা না বলেই ফিরে যেতে হয় বিরোধী দলনেতাকে৷ তবে বেরনোর আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে শুভেন্দু দাবি করেন, পুলিসের কারসাজিতে এটা হয়েছে৷ পুলিসের উচ্চআধিকারিকরা এসে এমন পরিবেশ তৈরি করেছে যাতে মনের কথা প্রকাশ না পায়৷