সুকান্তর কর্মসূচিতে গরহাজির পুরুলিয়ার ছয় বিধায়ক, বঙ্গবিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

বিকেলে পুরুলিয়া শহরের স্টেশন থেকে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করেন।

April 27, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

বঙ্গ বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে চরম আকার নিয়েছে বুধবার পুরুলিয়ায় আবার তা প্রমাণ হল। দলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মহামিছিল কর্মসূচিতে গরহাজির পুরুলিয়ার ছ’জন বিধায়ক। যদিও পুরুলিয়ার সাংসদ তথা দলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো উপস্থিত ছিলেন। দলের জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার আহ্বায়ক বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীও মিছিলে পা মেলান।

বুধবার দলের রাজ্য সভাপতি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিকেলে পুরুলিয়া শহরের স্টেশন থেকে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করেন। সুকান্ত মজুমদারের মিছিলের গরহাজির ওই ছয় গেরুয়া বিধায়ক হলেন পুরুলিয়ার সুদীপ মুখোপাধ্যায়, জয়পুরের নরহরি মাহাতো, পাড়ার নদিয়ারচাঁদ বাউরি, রঘুনাথপুরের বিবেকানন্দ বাউরি, কাশীপুরের কমলাকান্ত হাঁসদা, বলরামপুরের বানেশ্বর মাহাতো।

এদিন ওই বিধায়কদের মধ্যে অনেকেই ফোন তোলেননি। সাড়া দেননি মেসেজের। তবে জয়পুরের বিধায়ক নরহরি মাহাতো বলেন, “আমি রাঁচিতে এসেছি। তাই ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারিনি। অন্য বিধায়করা কেন যাননি বলতে পারব না।”

খোদ রাজ্য বিজেপি সভাপতির মহামিছিলেই বিধায়করা গরহাজির থাকায় দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে জল্পনা বাড়ছে। যদিও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “নিশ্চয়ই বিধায়করা কোনও কাজে ব্যস্ত আছেন। বিধায়ক দিয়ে সংগঠন চলে না। তাঁরা জনপ্রতিনিধি। বিজেপির সংগঠন বিধায়কের উপর নির্ভর করে না।” রাজ্য সভাপতি এমন কথা বললেও তিনি নিজেই একজন জনপ্রতিনিধি। ফলে বিধায়কের গরহাজির থাকা নিয়ে তাঁর বক্তব্যকে ঘিরে দলের অন্দরেই তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen