দীঘার হোটেলে একা থাকতে দেওয়া হয়নি, আইনি লড়াইয়ে জয় বিশ্বজিতের
দীঘাতে হোটেল বুক করেছিলেন তারকেশ্বর থানার মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ পাল। ১৭ই নভেম্বর ২০১৮ সালে অফিসের কাজেই দিঘা গিয়েছিলেন। কিন্তু একা তাঁকে ঘর দিতে চায়নি হোটেল কর্তৃপক্ষ। ৫৫৮ টাকা দিয়ে আগে থেকে ঘর বুকও করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেদিন সন্ধ্যায় হোটেলে গেলে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, একা কোনও বোর্ডারকে থাকতে দেওয়া হবে না। পুলিশের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে আসতে হবে। এরপর দিঘা থানায় যান তিনি। সেখান থেকে তাঁকে কোস্টাল থানায় যাওয়ার কথা বলা হয়। এরপর বার বার তিনি ওসির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। শেষপর্যন্ত বহু সাধ্যসাধনার পর থানা থেকে লোক এসে তাঁকে একা থাকার অনুমোদন দেন।
এদিকে বিশ্বজিৎ পাল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দেশের বহু জায়গায় যেতে হয়। কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। বুকিং করার সময়ও কিছু বলা হয়নি।
এদিকে এই হয়রানিতে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে যান বিশ্বজিৎ পাল। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ, জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন জায়গায় তিনি চিঠি দিয়েছিলেন এনিয়ে। কিন্তু কোথা থেকেও উত্তর মেলেনি। কার্যত হয়রানির কথা জানিয়ে তিনি মামলা করেন ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল আইনি যুদ্ধ। এরপর ২০২২ সালের ২৫শে এপ্রিল এল সেই বহু প্রতীক্ষিত রায়। হোটেল কর্তৃপক্ষকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলার খরচ বাবদ ২ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু কেন একা থাকতে দেয় না একাধিক হোটেল? সূত্রের খবর, একা ঘর ভাড়া নিয়ে কেউ যাতে আত্মহত্যা না করে সেকারণেই পুলিশের অলিখিত নিয়ম কিছু জায়গায় রয়েছে।