আগামী মরশুমে লাভের মুখ দেখতে কোমর বাঁধছে চিৎপুর যাত্রাপাড়া

করোনার কারণে গত দু’বছরে অন্যান্য সাংস্কৃতিক শিল্পের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যাত্রাশিল্পও।

May 2, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনার কারণে গত দু’বছরে অন্যান্য সাংস্কৃতিক শিল্পের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যাত্রাশিল্পও। তাই সেই আতঙ্ক কাটিয়ে আগামী মরশুমে যাত্রাশিল্প যাতে ফের স্বমহিমায় মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে, সেই বিষয়ে জোর কদমে উদ্যোগী হল চিৎপুর যাত্রাপাড়া। সেখানকার বিভিন্ন অপেরা অফিসে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার কাউন্ট ডাউন। অপেরা কর্তা-ব্যক্তিদের আশা, সমস্ত খরা কাটিয়ে আগামী মরশুমে তাঁরা অন্ততঃ লাভের মুখ দেখতে পাবেন। সেই আশাতেই বুক বেঁধে নতুন যাত্রাপালা কী হবে, তাতে পালাকার, প্রযোজক, নায়ক-নায়িকারাই বা কে হবেন, সেই সমস্ত বিষয় নিয়েই এখন মশগুল চিৎপুর যাত্রাপাড়া।

রাজ্য যাত্রা সম্মেলনের দুই কর্তা রুপকুমার ঘোষ ও তাপস দাস বলেন, ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের যাত্রাশিল্পের প্রভূত উন্নতি ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং যাত্রা আকাদেমির সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে এক কথায় এই শিল্পের জোয়ার এসেছে। আর তাকে কেন্দ্র করেই ফি বছর রথের দিন যাত্রা আকাদেমির অফিসে  ওই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে মহাসমারোহে পালিত হয় রথ পুজো। সেখানে উপস্থিত থাকেন যাত্রা জগতের নানান দিকপালেরা। থাকেন  নবীন-প্রবীণ কলাকুশলীরাও। যাত্রা আকাদেমি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন বাগবাজার ফণীভূষণ বিদ্যাবিনোদ মঞ্চ চত্বরে ছোট ছোট বিভিন্ন স্টল তৈরি করা হয়। সেখান থেকে সরাসরি যাত্রা বুকিং করার ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু গত দু’বছরে তা বন্ধ ছিল করোনার কারণে।

আকাদেমির সচিব তপন সরকার কথায়, এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই গত দু’বছরে কঠিন সময়েও যাত্রাশিল্পের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সরকারি তরফে বারবার আলাপ আলোচনায় বসা হয়েছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং আকাদেমি সভাপতির ভূমিকা অবশ্যই মনে রাখার মতো। তাঁদের প্রচেষ্টায় এই শিল্প ফের স্বমহিমায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।

চিৎপুরের অপেরা কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মরশুমের জন্য জোর কদমে শুরু হয়ে যাবে বিভিন্ন নতুন যাত্রাপালার রিহার্সাল। তাই এখন থেকেই যাত্রাপালার পালাকারদেরও ব্যস্ততা তুঙ্গে উঠেছে। বিভিন্ন অপেরা কর্তারা ছুটছেন তাঁদের কাছে- কোন যাত্রাপালা পছন্দ করলে তা নতুন মরশুমে ‘হিট’ করবে। সব মিলিয়ে আগামী মরশুমে ভরা বাজার পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন চিৎপুরের ছোট-বড় নানা অপেরা কর্তারা। প্রবীণ যাত্রা শিল্পী রুমা দাশগুপ্তের কথায়, ‘এই শিল্প বেঁচে থাকলে আমরাও বাঁচবো। তাই একে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলেরই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen