রাজ্যে পাঁচ ধর্ষণ তদন্তে সিটের ওপরই ভরসা রাখল আদালত
রাজ্যে সাম্প্রতিক পাঁচ ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তে এখনও রাজ্য পুলিসের উপরই আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। শান্তিনিকেতন, পিংলা, নামখানা, নেতরা এবং ময়নাগুড়ির ধর্ষণ মামলা নিয়ে সোমবারও শুনানি চলে কলকাতা হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এদিন পাঁচ তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে। শুনানিতে হাইকোর্ট রাজ্য পুলিসের তদন্তেই ভরসা রেখেছে। পরবর্তী শুনানি ৪ মে।
নেতরার তদন্ত রিপোর্ট সম্পর্কে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই রিপোর্টে পরস্পরবিরোধী কথা রয়েছে। অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এর জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন। বিজেপির আইনজীবী দাবি করেন, নির্যাতিতার পরিবারকে অবিলম্বে জেলা লিগ্যাল এইড অথোরিটির মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। আদালতের নির্দেশ, দু সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে ওই সংস্থাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
নামখানার তদন্ত রিপোর্ট সম্পর্কে এজি জানান, দময়ন্তী সেন আদালতের নির্দেশে এই তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছেন। ফরেনসিক রিপোর্ট আসতে সময় লাগছে। তাই দেরি হচ্ছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
শান্তিনিকেতনের আদিবাসী ধর্ষণের রিপোর্ট সম্পর্কে এজি জানান, ১৬৪ ধারা অনুযায়ী গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। কেস ডায়রিতে সব উল্লেখ আছে।
পিংলার ধর্ষণ নিয়ে রিপোর্ট সম্পর্কে এজির বক্তব্য প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, আপনি তো সব রিপোর্টেই একই কথা বলছেন। সব নির্যাতিতার ক্ষেত্রেই কী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে? জবাবে এজি জানান, জেলা লিগ্যাল এইড অথোরিটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। মামলায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন এবং মহিলা কমিশনকে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।