বহরমপুর কাণ্ডে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত সুশান্ত, নেই কোনও অনুতাপ
বহরমপুরে (Berhampore) তরুণী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল তদন্তকারীদের হাতে। মৃতার বাবার দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই ছাত্রীকে হুমকি দিচ্ছিল অভিযুক্ত। তবে পরিণতি এতটা ভয়ংকর হবে ভাবতে পারেননি কেউ। এদিকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত সুশান্তকে।
মৃত ছাত্রীর নাম সুতপা চৌধুরী। বহরমপুর কলেজের ওই তরুণী ছাত্রী মেসে থাকত। মালদহের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর বাড়ির উলটো দিকে থাকত সুশান্ত। বছর তিনেক আগে পরিচয় হয় তাঁদের। ক্রমেই বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে দু’ জন। কিন্তু কিছুদিন আগে ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক। সুতপার বাবা জানিয়েছেন, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই ফোন করে মেয়েকে ব্ল্যাকমেল করত অভিযুক্ত সুশান্ত। এদিকে সুশান্তের পরিবারের দাবি, বরাবরই মেধাবি। তরুণীর কারণেই পালটে যেতে শুরু করেছিল সে। মৃতার পরিবার অভিযুক্তকে মারধরও করেছিল বলে অভিযোগ।
সুতপার বান্ধবীরা জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে শপিং মলে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার সময় তাঁকে অনুসরণ করতে শুরু করে সুশান্ত। মেসে ঢোকার আগে হামলা চালায়। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এলাকা ছাড়ে। গোরাবাজার থেকে পালানোর সময় দু’ বার ট্যাক্সি বদল করে সে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় সে।
জানা গিয়েছে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করত অভিযুক্ত যুবক। ধৃতের ভাইয়ের দাবি, মা কোনও কিছুর প্রতিবাদ করলে তাঁর দিকেও তেড়ে যেত অভিযুক্ত যুবক। উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধেয় তরুণীর মেসের বাইরে তাঁর উপর কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রেমিক। একাধিকবার ধারাল অস্ত্রের কোপ দিতে থাকে সে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় শুয়ে কাতরাতে থাকেন তরুণী। আর্ত চিৎকারে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে যান। যুবককে বাধা দিতে এগিয়ে যান কেউ কেউ। সেই সময় আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ছাড়ে ওই যুবক।