বাড়িওয়ালার সাথে ভাড়াটিয়ার ঝগড়ার দিন শেষ, এবার অনলাইনেই জমা করা যাবে বাড়ি ভাড়া!
বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়া বিবাদের জেরে উভয়েরই হয়রানির শেষ থাকে না। বছরের পর বছর চলতে থাকা বিবাদের কারণে বঞ্চিত হয় দু’পক্ষই। এবার উভয়েরই পাশে দাঁড়াল রাজ্য। এই সংক্রান্ত বিবাদের ক্ষেত্রে ভাড়া জমা দিতে এবং তুলতে আর রেন্ট কন্ট্রোলারের অফিসে দৌড়তে হবে না। কারণ এবার অনলাইনেই ভাড়া জমা দেওয়া এবং সেই ভাড়ার টাকা তোলার জন্য আবেদন করার ব্যবস্থা চালু করছে রাজ্য। এতে উপকৃত হবেন কয়েক হাজার মানুষ।
বিবাদে জর্জরিত বাড়ির ভাড়া জমা দিতে হয় রেন্ট কন্ট্রোলে। প্রতি জেলায় সংশ্লিষ্ট এলাকার মহকুমা শাসকরাই সেখানকার রেন্ট কন্ট্রোলার। কলকাতার জন্য রেন্ট কন্ট্রোলার পদে একজন উচ্চপদস্থ অফিসার পৃথকভাবে নিযুক্ত রয়েছেন। এঁদের অনুমতি সহকারেই ভাড়া জমা পড়ে রেন্ট কন্ট্রোলে। এবং, তা জমা দিতে গেলে ভাড়াটিয়াকে দৌড়তে হয় সংশ্লিষ্ট অফিসে। আবার যদি বাড়িওয়ালা সেই ভাড়া তুলতে চান, তখনও তাঁকে বেশ দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। তাই এই কাজে সরলীকরণ এনে, অনলাইন পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। এর ফলে অনলাইনের মাধ্যমে যেমন ভাড়া জমা দেওয়া যাবে, ঠিক তেমনি বাড়িওয়ালারা ভাড়ার টাকা তোলার জন্য একইভাবে আবেদন করতে পারবেন। আধিকারিকদের মতে, এই পরিষেবা চালু হলে সময়মতো ভাড়া জমা দেওয়ার প্রবণতা বাড়বে।
রেন্ট কন্ট্রোলের বিষয়টি ভূমি ও ভুমিসংস্কার দপ্তরের অধীন। এই পরিষেবা চালু করতে ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে একটি ‘ডেডিকেটেড পোর্টাল’। এক আধিকারিক জানান, অনলাইন পরিষেবা চালু করতে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে রেন্ট কন্ট্রোলে জমা পড়া ভাড়ার তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে তথ্যভাণ্ডারটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করারও কাজ। এই মুহূর্তে পোর্টালটির ‘সিকিউরিটি অডিটের’ কাজ চলছে। নবান্ন সূত্রের খবর, সেটা সম্পূর্ণ হলেই উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও জানা গিয়েছে, এই পরিষেবার নাম রাখা হয়েছে ‘সলিউশন’। পরিষেবাটি চালু হলে কাজে আরও স্বচ্ছতা আসবে।
রেন্ট কন্ট্রোল মারফত ভাড়া জমা নেওয়ার জন্য ৩২ টাকার মতো ‘প্রসেসিং ফি’ নেওয়া হয়। অতএব, এই পরিষেবা চালু হলে শুধু রাজস্বই বাড়বে না, এই খাতে রাজ্যের কোষাগারে কত টাকা আসছে জানা যাবে তাও।