শাহের মঞ্চ থেকেই বাংলা ভাগের দাবী খোদ বিজেপি বিধায়কের
অমিত শাহের মঞ্চ থেকে আবারও উঠল বাংলা ভাগের দাবি। বঙ্গ সফরের প্রথম দিনে শিলিগুড়িতে সভা করেন শাহ। সেই সভামঞ্চে দাঁড়িয়েই মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বললেন, “কাশ্মীর থেকে লাদাখ আলাদা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে উত্তরাখণ্ড আলাদা হয়েছে। তাহলে বাংলা থেকে উত্তরবঙ্গের আলাদা হতে অসুবিধা কোথায়? মোদী-শাহ নিশ্চয়ই ভাবছেন।” স্বাভাবিকভাবে তাঁর এহেন মন্তব্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিগত বছরের জুলাই মাসে; উত্তরবঙ্গের জন্য একটি আলাদা রাজ্যের দাবি জানিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। সে’সময় তিনি বলেছিলেন, স্থানীয় মানুষের দাবি মেনে উত্তরবঙ্গ বিভাজনের প্রয়োজন রয়েছে।
বার্লার কথায়, ‘‘উত্তরবঙ্গকে স্বাধীন রাজ্য করার দাবি প্রায় একশো বছরের পুরনো। এটা স্থানীয় জনগণের দীর্ঘ সময়ের দাবি। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলব। জনতার দাবিকে দাবিয়ে রাখা যায় না।”
বার্লার সতীর্থ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও বিগত বছর একই সুরে সুর মিলিয়েছিলেন। কৌশলীভঙ্গিতে নিশীথ বলেছিলেন, “আমি জনগণের আবেগকে গুরুত্ব দি। দনগণের আবেগ যেদিকে আমিও সেই পথেই।”
কেবল সাংসদেরাই নন, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষও কদিন আগেই স্কুলের গরমের ছুটি ইস্যুতে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বানানোর দাবিতে সরব হয়েছিলেন।
বলাইবাহুল্য, বারংবার বিজেপি নেতা-জনপ্রতিনিধি-মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে বাংলা ভাগের কথা বলছেন। আজ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই বাংলা ভাগের দাবি জানালেন আরও এক বিজেপি বিধায়ক। তবে কি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলা ভাগের চক্রান্তের জাল বুনে চলেছে? এ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।