দেশে আর মাত্র ৪৫ দিনের ব্যবহারের মতো পাম তেল মজুত, দাম কমাতে ব্যর্থ মোদী সরকার

দেশে আর মাত্র ৪৫ দিনের ব্যবহারের মতো পাম তেল মজুত রয়েছে

May 6, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

মোদী সরকারের বদান্যতায় শীঘ্রই দেশে পাম তেলের সঙ্কট তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, দেশে আর মাত্র ৪৫ দিনের ব্যবহারের মতো পাম তেল মজুত রয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টনসচিব সুধাংশু পান্ডে। 

এই মুহূর্তে ভোজ্য তেলের দাম কমাতে নাজেহাল কেন্দ্রীয় সরকার। এর উপর ইন্দোনেশিয়া পাম তেল পাঠানো বন্ধ করে দেওয়ায় আরও বিপাকে কেন্দ্র। ইন্দোনেশিয়ার সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ওই দেশের সাবান, শ্যাম্পু, স্ন্যাক্স সহ হোটেল ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। ভারতেও অচিরেই একই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। 
স্রেফ পাম তেলেই নয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে সূর্যমুখী তেলের জোগানই বা কোথা থেকে হবে, দিশাহারা মোদি সরকার। স্টক লিমিট বেঁধে দেওয়া, সেস কমানো, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ সহ আট রাজ্যে আচমকা হানার মতো নানা উদ্যোগ নিলেও ভোজ্য তেলের দাম কমাতে নরেন্দ্র মোদি ডাহা ফেল বলেই অভিযোগ। যদিও সরকারের ধারণা, ইন্দোনেশিয়া বেশিদিন এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে পারবে না। পাম তেল ভারতকে দিতেই হবে। কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিবের মতে, ইন্দোনেশিয়ায় বছরে ৪০৭ লক্ষ মেট্রিক টন পাম তেল উৎপন্ন হয়। অথচ ওদের দেশের জন্য দরকার মাত্র ২০০ লক্ষ মেট্রিক টন। তাই বাকিটা তাদের রপ্তানি করতেই হবে।

কেন্দ্র জানিয়েছে, ঘরোয়া ব্যবহারের জন্য‌ ৬২ শতাংশ পাম তেলই আমদানি করতে হয়। আসে ইন্দোনেশিয়া আর মালয়েশিয়া থেকে। সয়াবিন তেলের ২২ শতাংশ আমদানি হয় আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল থেকে। ঘরোয়া চাহিদা মেটাতে সূর্যমুখীর ১৫ শতাংশ আমদানি করা হয় রাশিয়া আর ইউক্রেন থেকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই হিসেব মিলছে না। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen