রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে গুজরাত টাইটানসকে ৫ রানে হারাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস জয়। গুজরাতকে হারিয়ে দিল মুম্বই। হারের মুখ থেকেও জয় ছিনিয়ে নিল রোহিত শর্মার দল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জিতল ৫ রানে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল মুম্বই। বহু দিন বাদে ওপেন করতে নেমে ছন্দে দেখাচ্ছিল রোহিত শর্মাকে। গুজরাতের বোলারদের উপর তাণ্ডব দেখাচ্ছিলেন তিনি। পাল্লা দিয়ে শট মারছিলেন ঈশান কিশনও। পাওয়ার প্লে-তে কোনও উইকেট না হারিয়েই ৫৪ রান তুলে দেয় মুম্বই। তারা প্রথম উইকেট হারায় ৭৮ রানে। ৪৩ রানে ফিরে যান রোহিত শর্মা। এই আইপিএলের প্রথম অর্ধশতরান এ দিনও পাওয়া গেল না তাঁর ব্যাট থেকে।
তিনে নেমে সূর্যকুমার যাদবও চালিয়ে খেলা শুরু করেন। কিন্তু আগের ছন্দ এ দিন দেখা যায়নি। তিনি ফিরে যান ১১ রানেই। কিছুক্ষণ পরে ফেরেন কিশনও (৪৫)। তিনিও অর্ধশতরান পেলেন না। মুম্বই যে তবুও লড়াকু রানে পৌঁছল, তার পিছনে কৃতিত্ব টিম ডেভিডের। ২১ বলে ৪৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন তিনি। মেরেছেন দু’টি চার এবং চারটি ছক্কা।
জবাবে গুজরাতের শুরুটাও হয় স্বপ্নের মতোই। ওপেনিংয়ে আগেই ভরসা দিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। এ দিন তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন শুভমন গিলও। ম্যাচ জিতলেও ওপেনিং জুটি সে ভাবে দানা বাঁধছিল না গুজরাতের। এ দিন সেই অভাব মিটল। ওপেনিংয়েই উঠে গেল ১০৬ রান। অনবদ্য খেললেন ঋদ্ধিমান। তিনি বিশেষ করে চড়াও হয়েছিলেন যশপ্রীত বুমরার উপর। তাঁর ৯ বলে ২৫ রান নিলেন ঋদ্ধি। টি-টোয়েন্টির পাওয়ার প্লে-তে বুমরার বোলিংয়ে কেউ এত রান করতে পারেননি।
শুভমন (৫২) প্রথম অর্ধশতরান করে ফিরে যান। কিছুক্ষণ পরে ফেরেন ঋদ্ধিমানও (৫৫)। তিনিও মরসুমের দ্বিতীয় অর্ধশতরান করে ফেললেন। চারে নেমে ভরসা দিচ্ছিলেন সাই সুদর্শন। এ দিন তিনি হিট উইকেট হয়ে ফিরে গেলেন অদ্ভুত ভাবে। একটি নির্বিষ বলে পুল করতে গিয়ে মিস করলেন। ব্যাট গিয়ে লাগল উইকেটে।