দেশ বিভাগে ফিরে যান

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে ঘাটতি ৯ হাজার ভোট, চিন্তায় গেরুয়া শিবির

May 9, 2022 | 2 min read

রাইসিনা হিলের চূড়ায় প্রাসাদোপম বাড়িটার সিংহাসনে বসতে গেলে দরকার কমপক্ষে ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩২০ টি ভোট। কিন্তু টান পড়ছে প্রায় ৯ হাজার ভোট। তাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে চাপে বিজেপি। তারই মধ্যে বিরোধীরা এমন কাউকে প্রার্থী করতে চাইছে, যাতে বিজেপি’র বন্ধুদল বলে পরিচিত ওড়িশার বিজু জনতা দল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআরসিপি’কে ভাঙানো যায়। যদিও তা কঠিন। কারণ, নবীন পট্টনায়ক এবং জগন্মোহন উভয়েই মোদী-অমিত শাহর ঠিক করা প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলেই আভাস দিয়ে রেখেছেন।

প্রার্থী ঠিক করতে গতবারের মতো কংগ্রেস এবার উদ্যোগী হচ্ছে না। সোনিয়া গান্ধীর চোখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তৃণমূল কী করে তা দেখে দিতে চাইছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। তৃণমূলনেত্রী যদি গ্রহণযোগ্য কোনও প্রার্থীর নাম সামনে আনেন, তাহলে তাঁকে সমর্থন দিতে কংগ্রেসের আপত্তি নেই বলেই এআইসিসির সূত্রে জানা গিয়েছে।


তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হবে না।
তবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে সি আর, শিবসেনার উদ্ধব থ্যাকারে, এনসিপির শারদ পাওয়ারের সঙ্গে আলোচনা হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধীদের প্রার্থীকে জেতানো সহজ নয়। কিন্তু বিজেডি এবং জগন্মোহনকে দলে টানতে পারলে পাশা পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় গোপন ব্যালটে। উত্তরপ্রদেশে এবার বিজেপির দাপট কমেছে। সমাজবাদী পার্টি ২০১৭ সালের চেয়ে অনেক বেশি আসন পেয়েছে। পাঞ্জাবেও আপের দাপটে বিধায়ক সংখ্যার বিচারে বিজেপি বিরোধীরাই বেশি। মহারাষ্ট্রেও তাই। তাই সার্বিকভাবে চাপে বিজেপি। 

২০১৭ সালে বিজেপি তথা এনডিএ প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দ মোট ২ হাজার ৯৩০ জন এমপি-বিধায়কের ভোট পেয়ে জিতেছিলেন। বিরোধীদের প্রার্থী মীরাকুমারের কপালে জুটেছিল ১ হাজার ৮৪৪ জনপ্রতিনিধির ভোট। গতবার ৭ জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই মতো ১৭ জুলাই 
ভোট করাতে উদ্যোগী হয়েছিল লোকসভার সচিবালয়। এবার যা করছে রাজ্যসভার সচিবালয়। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#India, #president, #bjp, #votes

আরো দেখুন