জিলিপির থেকেও প্যাঁচালো ঋতুপর্ণা? কেন একথা বললেন খরাজ?
ছবির প্রচারের জন্য সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েই যত সমস্যা। মজার ছলে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে (Rituparna Sengupta) প্যাঁচালো অমৃতির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন খরাজ মুখোপাধ্যায় (Kharaj Mukherjee)। তা নিয়েই শুরু হয় তরজা। চলে বিতর্ক। সেই বিতর্কে জল ঢালার জন্যই ভিডিও আপলোড করে নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন অভিনেতা। পাশাপাশি ঋতুপর্ণাকে ‘সরি’ও বললেন খরাজ।
২০ মে মুক্তি পেতে চলেছে প্রয়াত কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনীত ছবি ‘বেলাশুরু’ (Belashuru)। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, খরাজ মুখোপাধ্যায়। ‘বেলাশুরু’র প্রযোজনা সংস্থা উইন্ডোজ প্রোডাকশনস থেকে খরাজের একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও আপলোড করা হয়। সিনেমার কলাকুশলীদের কোনও একটি মিষ্টির সঙ্গে তুলনা করতে বলা হয় খরাজকে।
সেই ভিডিওয় প্রথমে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে জিলিপির সঙ্গে তুলনা করে বসেন খরাজ। সঙ্গে সঙ্গে নিজের মন্তব্য বদলে অভিনেত্রীকে অমৃতির সঙ্গে তুলনা করেন খরাজ। তাঁর কথা অনুযায়ী, জিলিপিতে তো কম প্যাঁচ থাকে, তাই অমৃতি! ঋতুপর্ণা যে কী প্ল্যানে চলে, কী করে, তা বোঝা কঠিন! ঋতুপর্ণার মনের মধ্যে কী চলে তা বোঝা খুবই কঠিন। এই জন্যই অমৃতি
খরাজের এই মন্তব্য নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়। শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। বিতর্ক থামানোর জন্য ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় খরাজ বলেন “বিভিন্ন শিল্পীদের বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মিষ্টির সঙ্গে তুলনা করেছিলাম। ধরুন, আমি খুব কালো দেখতে, আমাকে যদি কেউ বলে আপনি অনেকটা কালোজামের মতো দেখতে বা কোনও ফলের সঙ্গে বা কোনও সবজির সঙ্গে যদি আমাকে তুলনা করতে বলে, তখন কেউ যদি বলে খরাজ মানে হচ্ছে একটা কুমড়ো। তাহলে ঠিক যা হয় আমি ঠিক সেরকমই একটা ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন শিল্পীকে বিভিন্ন রকম মিষ্টির সঙ্গে তুলনা করছিলাম। সেটা কিন্তু খুবই মজা করে, আনন্দ করে, একটা ঠাট্টার ছলে করা।”
এরপরই খরাজ জানান, জিলিপি নয় তিনি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে অমৃতির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। ঋতুপর্ণা ব্যস্ত একজন শিল্পী। কোনও কাজে তাঁকে পাওয়া মানে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো। অভিনেত্রীর যেদিন হয়তো সময়ে আসার কথা কোনও কাজে আটকে হয়তো দেরি করে আসেন। আবার যেদিন মনে করা হয় দেরিতে আসবেন, সেদিন একেবারে সঠিক সময়ে এসে উপস্থিত হন। অভিনয়ের ক্ষেত্রেও মহড়ার সময় ঋতুপর্ণা যেভাবে অভিনয় করেন, পারফরম্যান্সের সময় একেবারে অন্যরূপে ক্যামেরার সামনে ধরা দেন অভিনেত্রী। ঋতুপর্ণা এরকমই একজন আনপ্রেডিক্টেবল অভিনেত্রী। তাঁর মনের ভিতরে কী চলছে, সহজে টের পাওয়া যায় না। সেই কারণেই তাঁকে অমৃতির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন বলে জানান খরাজ।
তবে এই বিষয়টাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে যা মোটেও খরাজের পছন্দ নয়। ঋতুপর্ণাকেও কটাক্ষ করা হয়েছে, যা তাঁর অত্যন্ত খারাপ লেগেছে বলে জানান অভিনেতা। খরাজের কথা অনুযায়ী, উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর বাংলা ইন্ডাস্ট্রি যখন প্রায় ডুবতে বসেছিল, তখন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, চিরঞ্জিৎ, তাপস পাল, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মতো তারকারাই হাল ধরেছিলেন। যা বলেছেন, তা সম্পূর্ণ মজা করে বলেছেন। তাতে ঋতুপর্ণা আহত হয়ে থাকলে তিনি দুঃখিত বলেই মন্তব্য করেন খরাজ। অভিনেত্রীকে সরিও বলেন তিনি। পাশাপাশি ঋতুপর্ণাকে লক্ষ্মী আখ্যা দেন খরাজ মুখোপাধ্যায়।