ভেঙে পড়ল স্মৃতিবিজড়িত রক্সি সিনেমার একাংশ
শেষ বার রক্সিতে সিনেমা দেখানো বন্ধ হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে। কলকাতার সাবেক স্থাপত্যঘরানার স্মারক অভিজাত প্রেক্ষাগৃহটিতে পা পড়েছে কত না গুণী মানুষের। আর আজ! কালের বিবর্তনের সঙ্গে পা মিলিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল এতদিন। কিন্তু সোমবার ভেঙে পড়ল এই সিনেমা হলের একাংশ।এদিন বিকেল সাড়ে ৫ তা নাগাদ হঠাৎই ভেঙে পড়ে হলের বাইরের বিভিন্ন দিক।
আশপাশের ফুটপাতের দোকান সমস্ত বন্ধ থাকার কারণে বড়সড় কোনও বিপদ হয়নি। কোনও পথচলতি মানুষ এবং দোকানদারের কর্মীরাও আহত হননি। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে নিউমার্কেট থানার পুলিস। হঠাৎ কী করে রক্সি সিনেমা হলের সামনের দিকের এই অংশ ভেঙে পড়ল, তা খতিয়ে দেখতে দ্রুত বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে আসেন।
১৯৪০ সালে রক্সি সিনেমা হলটি অপেরা হল।১৯৪০-এর দশকের গোড়ার দিকে এই অপেরা হাউসটিকে সিনেমা হলে রূপান্তরিত করা হয়। পুরদস্তুর সিনেমা হল হিসেবে চালু হয় রক্সি।। সুভাষ চন্দ্র বসু রক্সি সিনেমা হলে এসে অশোক কুমারের কিসমাত ছবিটা দেখেছিলেন । শোনা যায়, শতাব্দী-প্রাচীন সাবেক এম্পায়ার থিয়েটার ইউরোপের ধ্রুপদী অপেরার প্রদর্শনের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। সত্যজিৎ রায় সেখানেই উদয় শঙ্করের উপস্থাপনা মুগ্ধ হয়েছিলেন বলে কিছু লেখালেখিও করেছিলেন। ২০১১ সালে কলকাতা পুরসভা হলটি দখল নেয়।সেখানে গড়ে ওঠে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির পরিষেবা কেন্দ্র।