ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ আজ দুর্বল হয়ে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ আজ বৃহস্পতিবার দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। এমনকী, অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এটি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আজ, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে কোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি হতে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গে আজ মূলত বজ্রগর্ভ মেঘের কারণে বৃষ্টি হবে। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিশেষ করে হিমালয় সংলগ্ন পাঁচ জেলায় বৃষ্টির মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। শুক্রবার থেকেই বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সঞ্জীববাবু জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমি বাতাস বেশি পরিমাণ জলীয় বাষ্প নিয়ে দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে যাবে। সেখানে পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে মেঘ সৃষ্টি করবে। দখিনা বাতাস সক্রিয় থাকায় দক্ষিণবঙ্গের উপকূল এলাকায় দমকা হাওয়া বইতে পারে। বৃহস্পতিবারের পর দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ফের বাড়তে শুরু করবে। বৃষ্টির জন্য গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে গরম অনেকটাই কম। বুধবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম।
বুধবার দুপুরে ‘অশনি’ সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অন্ধ্রের মছলিপত্তনম উপকূল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের উপর ছিল। এটির কিছু অংশ অন্ধ্র উপকূলের স্থলভূমি স্পর্শ করবে বলে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন। অন্ধ্র উপকূল ধরে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রসর হওয়ার কথা। কিন্তু আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশ দাস জানিয়েছেন, উপকূল সংলগ্ন জায়গায় ‘অশনি’ অনেকটা সময় ধরে থমকে আছে। সেখানে ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এমন সম্ভাবনাই প্রবল। রাজ্যের উপকূল থেকে অনেকটা দূরে অবস্থান করলেও এর প্রভাবে এদিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য সতর্কবার্তা কার্যকর থাকবে শুক্রবার পর্যন্ত।