পুরীর হেরিটেজ করিডর তৈরী নিয়ে এবার প্রকাশ্যে বিজেপি নেতাদের অন্দরের লড়াই
প্রশ্নের মুখে পুরী হেরিটেজ করিডর প্রকল্পের কাজ। ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই) ইতিমধ্যেই এতে আপত্তি জানিয়েছে। আদালতে তারা জানিয়েছে, ওড়িশার বিজেডি সরকারের এই প্রকল্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দ্বাদশ শতকে তৈরি জগন্নাথ মন্দিরের কাঠামো। এবার এই ইস্যুতে বিজেপির অন্দরের লড়াইও সামনে চলে এল। প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। কাজ বন্ধের দাবি তুলছেন ভুবনেশ্বরের সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গীও। যদিও কাজ দ্রুত শেষ করার পক্ষে সওয়াল করছেন পুরীর বিজেপি বিধায়ক জয়ন্ত সারঙ্গী।
বুধবার সম্বিত পাত্র অভিযোগ করেছিলেন, নবীন পট্টনায়েকের সরকার ‘বেআইনিভাবে’ প্রকল্পের কাজ চালাচ্ছে। ৮০০ বছরের পুরনো জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এই কাজ বন্ধ করতে হবে। অপরাজিতা সারঙ্গীরও দাবি, অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে নির্মাণকাজ। যদিও বৃহস্পতিবার ঠিক উল্টো সুরে কথা বললেন পুরীর বিজেপি বিধায়ক জয়ন্ত সারঙ্গী। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, এই ইস্যুতে রাজনীতি বন্ধ হোক। যত দ্রুত সম্ভব শেষ হওয়া উচিত প্রকল্পের কাজ।
জগন্নাথ মন্দিরের কাঠামোয় ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজের বিরোধিতা করে ওড়িশা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তার ভিত্তিতে এএসআই ও রাজ্য সরকারকে মন্দিরে যৌথ পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। গত ৯ মে এএসআই হাইকোর্টে জানায়, রাজ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই করিডর নির্মাণের কাজ চালাচ্ছে। এই নির্মাণকাজের ফলে জগন্নাথ মন্দিরের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এএসআইয়ের এই বক্তব্যের পরই কাজ বন্ধের দাবিতে সুর চড়ান সম্বিত পাত্র ও অপরাজিতা সারঙ্গীর মতো বিজেপি নেতানেত্রীরা।
যদিও তাঁদের দলেরই বিধায়ক জয়ন্ত সারঙ্গী বলছেন, ‘স্থানীয় মানুষ ও মন্দিরের স্বার্থেই এই কাজে আর বিলম্ব করা উচিত নয়। করিডর নির্মাণের ইস্যুতে সব পক্ষকেই রাজনীতি না করার অনুরোধ করছি। আমি প্রথম থেকেই করিডর নির্মাণের এই কাজকে সমর্থন করছি। এএসআইয়ের অবস্থানের ফলে প্রকল্পে বিলম্ব হচ্ছে। বর্ষার আগে কাজ শেষ না হলে পুণ্যার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হবে। কারণ, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গড়ে তুলতে মন্দিরের আশপাশে গভীর গর্ত খোঁড়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, পুণ্যার্থীদের জন্য শৌচাগার, ক্লকরুম সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গড়ে তুলতে গত বছর প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরীর রাজা গজপতি দিব্য সিংহ দেবও।এই মুহূর্তে