ইউক্রেনে ফের বড়সড় ধাক্কা, খারকিভ থেকে পিছু হঠছে পুতিন বাহিনী
ইউক্রেনে ফের বড়সড় ধাক্কা খেল পুতিন বাহিনী। দীর্ঘদিন দখলের চেষ্টা চালানোর পরেও খারকিভ থেকে পিছু হটছে রুশ সেনা। যাকে একদিক দিয়ে জেলেনস্কির দেশের জয় হিসেবেই দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। শনিবার ওয়াশিংটনের ‘দি ইনস্টিটিউট ফর দি স্টাডি অব ওয়ার’ জানিয়েছে, ‘মনে হচ্ছে ইউক্রেন খারকিভের যুদ্ধ জিতে গিয়েছে। শহরটির দখল নেওয়া তো দূর, তা অবরোধ পর্যন্ত করতে পারেনি রাশিয়ার সেনা। ইউক্রেনীয় সেনা তাদের রীতিমতো তাড়িয়ে দিয়েছে।’
এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের মেয়র ইহর তেরেকভ বলেন, খারকিভের কাছে থাকার ফলে রুশ সেনা সেখানে নাগাড়ে বোমাবর্ষণ চালিয়েছে। বাস্তবে অল্প সময়ের জন্য শহরের একটি ক্ষুদ্র অংশে ঢুকতে পেরেছিল তারা। তবে এখন সেনা পিছু হটায় ধীরে ধীরে শহরে ফিরছেন নাগরিকরা। তাঁদের সমস্ত সুবিধা প্রদান করার আশ্বাসও দিয়েছেন মেয়র। রুশ বোমাবর্ষণের কারণে শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়।
শনিবার খারকিভ থেকে ১২৫ কিমি দূরে ইজ্যুম শহরে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনীয় সেনার সংঘর্ষের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর ওলে সিনেগুবভ। প্রসঙ্গত, এপ্রিলের শুরু থেকেই রাশিয়ার কব্জায় রয়েছে এই শহর। সেভেরোডনেৎস্ক শহরের কাছে সিভার্সকি নদীতেও রুশ হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ইউক্রেন। তবে সেখানে রুশ আগ্রাসন রুখতে পারেনি জেলেনস্কির দেশ। বিষয়টি নিয়ে ইউক্রেনের এক যুদ্ধ বিশারদ জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেনীয় সেনার একটি বড় অংশের ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছে। সেখানে প্রায় ৪০ হাজার সৈনিক রয়েছে।’ এদিকে নদীর আরেকটি অংশে পারাপার করতে গিয়ে ইউক্রেনের আক্রমণে রুশ সেনার তরফেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে নদী পারাপারের জন্য রাশিয়ার ব্যবহৃত পন্টুন সেতু। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘হামলায় অন্তত একটি রাশিয়ান ব্যাটালিয়ন ট্যাকটিকাল গ্রুপ তাদের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে পূর্ব ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে সাফল্য পেতে কতটা মরিয়া রাশিয়া।’ উল্লেখ্য, একটি রাশিয়ান ব্যাটালিয়ন ট্যাকটিকাল গ্রুপে থাকে ১ হাজার সামরিক বাহিনী।
সম্প্রতি ইউরোভিশন নামক ইউরোপের একটি সঙ্গীতের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে ইউক্রেনের কালুশ অর্কেস্ট্রা। রবিবার বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদামির জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের সাহস গোটা বিশ্বকে প্রভাবিত করে। আমাদের সঙ্গীত ইউরোপকে জয় করে।’ ভবিষ্যতে যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর মারিউপুলে সংশ্লিষ্ট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘আগামী বছর ইউক্রেনেই ইউরোভিশন অনুষ্ঠিত হবে।’ প্রসঙ্গত, বর্তমানে মারিউপুল এবং ডনবাস দখলে জোর দিয়েছে রাশিয়া।