লকডাউনের মধ্যেও উত্তর কোরিয়ায় বেসামাল করোনায়, সংক্রমিত ১২ লক্ষ মানুষ
লকডাউনের মধ্যেও উত্তর কোরিয়ায় বেসামাল করোনা পরিস্থিতি। বাড়ছে ‘অজানা’ জ্বরে মৃত্যু। এই নাজেহাল অবস্থায় স্বাস্থ্যকর্মীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন সর্বাধিনায়ক কিম জং উন। স্বাস্থ্যকর্মীদের বদলে দেশের সেনাবাহিনীকে ওষুধ বিতরণ করার দায়িত্ব দিলেন তিনি।
শত চেষ্টা করেও করোনা সংক্রমণ আটকাতে পারেননি কিম। কয়েকদিনেই ১২ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন কিমের দেশে। মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০। দেশের এই মহাবিপর্যয়ে প্রায় প্রতিদিনই জরুরি বৈঠক করছেন তিনি। ওই দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর্মীদেরই দায়ী করেছেন কিম। ওষুধ বিতরণে তাঁদের ব্যর্থতা ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। কিমের মতে, সচিবালয় এবং জনস্বাস্থ্যের দায়িত্বে থাকা কর্তারা সঠিকভাবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেননি বলেই এই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে কোভিড সংক্রমণ। সোমবার দেশের বিভিন্ন ফার্মাসি পরিদর্শন করতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কঠোর সমালোচনাও করেছেন কিম।
কিম জানান, দেশে ওষুধ বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতি ধরা পড়েছে। তাই এবার স্বাস্থ্যকর্মীদের বদলে দেশের জওয়ানদের ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমনিতেই উত্তর কোরিয়ার স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল খুবই খারাপ। কয়েকটি নিম্নমানের হাসপাতাল এবং আইসিইউ ছাড়া বিশেষ কিছুই নেই কিমের দেশে। কোভিড চিকিৎসার জন্য আলাদা কোনও ব্যবস্থা নেই বলেও সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলাবেন কিম, তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই রাজধানী পিয়ং ইয়ংয়ে প্রথম কোভিড আক্রান্তের হদিস মেলে। সেদিনই লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন কিম। তার পরেও শেষরক্ষা হল না। কয়েকদিনের মধ্যেই সংক্রমিত হলেন উত্তর কোরিয়ার লক্ষাধিক নাগরিক।
উত্তর কোরিয়ায় জনসংখ্যা আড়াই কোটি হলেও সেখানে এতদিন পর্যন্ত কাউকে করোনা টিকা দেওয়া হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, চিন ও রাশিয়ার তরফে টিকা জোগান দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও কিম সরকার সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। আর তার জেরেই এই বিপর্যয় বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।