খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ মোদী সরকার, কমার কোনও সম্ভাবনাই নেই বলে পূর্বাভাস
আপাতত কমবে না খুচরো ও পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার, আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কই। মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে সবথেকে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি খাদ্যপণ্যের দামে, যার এপ্রিল মাসের পর চলতি মে মাসেও ঊর্ধমুখী প্রবণতা অব্যাহত। আভাসও পাওয়া যাচ্ছে, এই প্রবণতা যে আগামীদিনেও চলবে সেই ।
এই অবস্থায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টে দাম কমার কোনও সম্ভাবনাই নেই বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্য সব সেক্টর বাদ দিলেও খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হচ্ছে মোদী সরকার। মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানার জন্য যে মাপকাঠিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন, তার প্রতিটি ক্ষেত্রই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে, এবং এটাই সবথেকে বিপজ্জনক প্রবণতা বলে মনে করা হচ্ছে।
পেট্রপণ্যের দাম যে কোনও সময় আবার বাড়তে চলেছে। মঙ্গলবারও টাকার মূল্যে নতুন করে পতন দেখা গিয়েছে। সোমবার এক সময় ৭৭ টাকা ৭৯ পয়সা স্পর্শ করলেও শেষ পর্যন্ত ৭৭ টাকা ৪৪ পয়সায় এসে থেমেছিল এক ডলারের মূল্য। মঙ্গলবার তা আবার বাড়তে শুরু করে। এদিন ৭৭ টাকা ৬০ পয়সার গণ্ডি পেরিয়েই থেমেছে ডলারের বিনিময়মূল্য।
পেট্রল ও ডিজেলের দাম বাড়ানো হলে বাড়বে নিত্যপণ্যের দামও। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি ১১৩ ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, যে কোনও সময় পেট্রল ও ডিজেলের দাম আবার বাড়ানো হবে। কারণ, বেশ কিছুদিন অশোধিত তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে চললেও তেল উৎপাদক সংস্থাগুলি তা বাড়াচ্ছে না। সংস্থাগুলি সরকারকে চিঠি লিখে বলেছে, দাম না বাড়ালে তেল সরবরাহ ব্যাহত হবে। এখনই কয়েক দফায় লিটার পিছু দাম অন্তত ১০ টাকা বাড়াতে চায় তেল সংস্থাগুলি।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, সার, কয়লা, বিদ্যুৎ, ভোজ্য তেল, গমের সঙ্কটের পর এবার পেট্রল ও ডিজেলেরও সঙ্কট শুরু হতে চলেছে।