বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

সাগ্নিকের বিরুদ্ধে আনা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ পল্লবীর পরিবার

May 26, 2022 | 2 min read

পল্লবীর দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই নানান সময়ে নানান বিষয়ে জন্ম হয়েছে নতুন নতুন বিতর্কের। ততই ঘনিয়েছে রহস্য। অভিনেত্রীর দেহ উদ্ধারের পরই গরফা থানায় সাগ্নিকের নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ করেছিল পল্লবীর পরিবার। পল্লবীর দেওয়া ৫৭ লক্ষ টাকায় রাজারহাটে সাগ্নিকের বাবার নামে ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে। এমনই অভিযোগ ছিল পল্লবীর পরিবারের। কিন্তু ওই নস্যাৎ কেবল খাতায়-কলমেই রয়ে গেল। অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণের জন্য গরফা থানা পল্লবীর পরিবারকে তলব করেছিল। কিন্তু পুলিশের নোটিশ পাওয়ার পরে ছদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনও প্রমাণ নিয়ে হাজির হয়নি পল্লবীর পরিবার। 

প্রসঙ্গত, পল্লবীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল শহরে। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে পল্লবীকে। অভিনেত্রীর পরিবার তরফে গরফা থানায় খুন ও আর্থিক প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিবারের আনা খুনের অভিযোগের দাবি হয়ে যায়। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিকে তদন্তেও কোনও সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। পল্লবীর বাবা নীলু দের অভিযোগ, সাগ্নিকের বাবার নামে কেনা ফ্ল্যাটের অধিকাংশ টাকাই দিয়েছিল মৃতা পল্লবী। যদিও সেই অভিযোগেরও কোনও প্রমাণ পায়নি পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের দাবি, পল্লবীর তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখা হয়েছে। ৫৭ লক্ষ টাকা পেমেন্টের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরপরেই পল্লবীর বাবাকে ফৌজদারি মামলার ৯১ ধারায় নোটিশ পাঠায় তদন্তকারী আধিকারিক। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের সপক্ষে যাবতীয় প্রমাণ নথিপত্র থানায় এসে পেশ করতেও বলা হয়। পুলিশ সূত্রের দাবি, এখনও কোন নথি তারা দেননি এবং অভিযোগকারীরা থানায় এসে দেখাও করেননি।

প্রসঙ্গত, আজ বৃহস্পতিবার ২৬মে সাগ্নিকের পুলিশি হেফাজত শেষ হচ্ছে। আবারও আলিপুর আদালতে তোলা হবে তাকে। সূত্রের খবর, নতুন করে সাগ্নিকের চারদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হবে। তদন্তকারীদের দাবি, তদন্তে সাগ্নিকের প্রচুর টাকার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বেআইনি কল সেন্টার চালিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে সেই টাকা উপার্জন করেছেন তিনি। সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পেরেছে, তাঁর কল সেন্টারে আটজন কর্মীর বেতনের জন্য সাগ্নিক মাসে প্রায় এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি ব্যয় করতেন।

পুলিশের দাবি, সাগ্নিকের আয়ের অঙ্ক নির্দিষ্ট নয়। মাস দুই তিন লক্ষ টাকার রোজগার করতেন সাগ্নিক। যা পল্লবীর মাসিক আয়ের তুলনায় প্রায় দুই বা তিনগুণ বেশি। পুলিশি তদন্তে উঠে আসছে, পল্লবীর তুলনায় সাগ্নিকের রোজগার ও সঞ্চয় অনেকটাই বেশি। এই সব তথ্য সামনে আসায়, সাগ্নিকের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগকে ভিত্তিহীনই বলছেন তদন্তকারীরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Pallavi Dey, #sagnik chakraborty

আরো দেখুন