অন্দরসজ্জার আটকাহন – ঘর সাজাব যতনে
রোজকার একঘেয়ে, একই ধাঁচের অন্দরসজ্জায় মন ভার হলে খুব সহজেই ঘরের খোলনলচে পাল্টে ফেলতে পারেন।
কেমন করে রইলো তারই কিছু উদাহরণঃ
ঝুড়ির বাহার
সুন্দর শো-পিস ঘরের সৌন্দর্য অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। ঘর সাজাতে শো-পিসই কিনতে হবে, এই ধারণাটা তাই বদলে ফেলুন এবার। বাজার থেকে হরেক রকম ঝুড়ি কিনে ফাঁকা দেওয়ালে তা-ই টাঙিয়ে দিন। হরেক রঙের, নানান আকারের বাহারি ঝুড়ি অন্দরসজ্জায় অন্য মাত্রা এনে দেবে। তবে হ্যাঁ, বেতের ঝুড়িই কিনবেন। প্লাস্টিক একেবারেই বেমানান এখানে।
নজরকাড়া রং
ঘর সাজানোর প্রথম মন্ত্র হল দেওয়ালের রং। বসার ঘরের অন্তত একটি দেওয়ালের জন্য উজ্জ্বল কোনও রং বাছুন, তবে তা অবশ্যই আইসুদিং হতে হবে। অর্থাৎ যে রং চোখকে আরাম দেবে। দেওয়ালটি ফাঁকাই রাখুন, সামনে কোনও আসবাব না রাখাই ভালো। খুব বেশি হলে রঙের সঙ্গে মানানসই এক-দু’টি পেন্টিং ঝুলিয়ে দিন। ঘরে ঢুকেই অতিথির নজর পড়তে বাধ্য তাতে।
সবুজায়ন
হালের ঘুপচি ফ্ল্যাট, তারপর সময়েরও অভাব। তবুও মন চায়, একটু সবুজের ছোঁয়া থাকুক ঘরে। বসার ঘর সে শখ মেটানোর জন্য আদর্শ। সেন্টার টেবিলে, বড়, সেরামিকের বাহারি টবে, বাহারি কোনও গাছ রাখুন। মনই তরতাজা থাকবে তখন। টেবিল খুব ছোট হলে সোফা, বা ডিভানের পাশে কিংবা সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়েও রেখে দিতে পারেন ইন্ডোর গাছের টব। যা আপনার শৌখিনতার পরিচয়ই দেবে।
বইয়ের সারি
খোলা তাক বা ওপেন শেল্ফ হালের ফ্যাশন এখন। পরিষ্কার রাখা একটু ঝক্কি বটে, কিন্তু খোলা তাকের এই কনসেপ্ট ঘরের জায়গা অনেক বাড়িয়ে দেয়। সেখানেই পছন্দের বইগুলো সাজিয়ে ফেলুন, একটু এলোমেলো থাকলেও ক্ষতি নেই। কেননা ‘ট্রেন্ড’ সেটাই। ফাঁকা একটা দেওয়ালজুড়ে কিংবা দেওয়ালের কোনও একটা অংশে শেল্ফ তৈরি করুন। শেল্ফের উপর ছোট স্পট লাইট নিঃসন্দেহে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবে আরও। সাইড টেবিলেও গুছিয়ে রাখতে পারেন পছন্দের বইগুলো।
দেওয়ালই যখন শো-পিস
কোনও একটি দেওয়ালের অনেকটা অংশ যদি ফাঁকা থাকে এবং সে রকম শো-পিসের আধিক্য না থাকে, তাহলে দেওয়ালে নিজে হাতে এঁকে কিংবা বাজারচলতি ওয়াল স্টিকার কিনে এনে লাগিয়ে ফেলুন। দেওয়ালের সজ্জায় বদলে যাবে অন্দমহলের রূপ। ইন্টেরিয়ার ডেকরের ভাষাই ওই দেওয়ালটিই হবে বসার ঘরের ‘বোল্ড ওয়াল’। ‘বোল্ড ওয়াল’-এর সামনেই রাখুন ছিমছাম একটি সোফা। পাশে ল্যাম্প শেড কিংবা একটু বড় বাহারি গাছের টব
সোফা-কথা
বসার ঘর আর সোফা, অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। একরঙা, এল-শেপ-এর সোফাই বাজারে বেশি চলছে এখন। সোফার পাশের দেওয়ালে টাঙিয়ে দিতে পারেন ওভাল কোনও আয়না! বিষয়টি স্বকীয়ও হবে। ফ্ল্যাট যদি ছোট হয়, এই সোফাই কিন্তু অতিথি আপ্যায়নে আপনার সঙ্গী হতে পারে। দিন-পছন্দ বদলালেও তাই সোফা-কাম-বেডের কদর পড়েনি এতটুকুও। সোফা-কাম-বেডের নতুন পোশাকি নামই এখন ফুটন সোফা বেড
কুশন বাহার
নতুন ঘর পেতে সবার আগে চাই নতুন জামা। অর্থাৎ নতুন পর্দা, কুশন কভার ইত্যাদি। স্টকে থাকলে তো কথাই নেই, না হলে একটু মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে কিনে ফেলতে পারেন। বসার ঘরের দেওয়াল একটু হাল্কা রঙের ক্ষেত্রে পর্দা হোক উজ্জ্বল, সঙ্গে চেক প্রিন্ট পেলে জাস্ট পারফেক্ট। সোফা গাঢ় রঙের হলে কুশন কভার হোক হাল্কা, তবে অবশ্যই বাহারি প্রিন্ট
ডিসপ্লে ইউনিট
ডিসপ্লে ইউনিট বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়। সাউন্ড সিস্টেম রাখা যেতে পারে এখানে। সারাউন্ডিং সাউন্ড বক্স ছড়িয়ে থাকবে চারপাশের দেওয়ালে কিম্বা ফলস সিলিং-এর ফাঁকে। আর মূল সাউন্ড প্লেয়ারটা থাকবে ডিসপ্লে ইউনিটের নীচের অংশে। এ ছাড়াও ল্যান্ড টেলিফোন থেকে শুরু করে রাউটার, ল্যাপটপ থেকে বাচ্চাদের গেমিং জোন ডিসপ্লে ইউনিটের নীচের অংশে রাখা যেতে পারে।