জামাইষষ্ঠীতে কব্জি ডুবিয়ে খেয়েও নিজেকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে? রইল ঘরোয়া টোটকা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জামাইষষ্ঠী মানেই জমিয়ে ভুরিভোজ। পেটপুরে খাওয়া দাওয়া কিন্তু পেট কী সব সইতে পারে! আবার না খেলেও শাশুড়ির মন খারাপ। বছরের একটি দিনে বাবাজীবনদের পাতে ভাল মন্দ তুলে দিতেই হবে। কিন্তু একে গরমের দাপিয়ে ব্যাটিং অন্যদিকে, খাবারের পাতে লম্বা মেনু জোড়া ফলা সামলানো বেশ মুশকিলের! তা বলে কি কব্জি ডুবিয়ে খাবেন না বাবাজীবনরা? তা কি হয়! পেট সামলে শরীর সুস্থ রাখবেন কীভাবে, জেনে নিন ঘরোয়া টোটকা।
ভুরিভোজের পড়ে ভরসা রাখুন সহজ টোটকায়:
১) জল পান করুন:
বেশি বেশি করে জল পান করুন। অনেক সময় নানান ব্যস্ততার কারণে জল খাওয়া হয় না। পর্যাপ্ত জল না পান করা মানেই কোষ্ঠকাঠিন্যকে ডেকে আনা। সঙ্গে উপরি পাওনা পেট ফাঁপার সমস্যা। এরপর যদিও দুপুরের খাওয়ার হয় পঞ্চব্যাঞ্জনে, তা হলে তো আর রক্ষা নেই। তাই সারা দিনে পরিমাণ মতো জল পান করুন।
২) রঙিন জলে মাত্রা টানুন:
জামাইষষ্ঠীতে মদ্যপানের চল নেই। তবুও যদি রঙিন জল গলা ভেজাতেই হয়, তবে মেপে খান। পরিমিত। খাবারের সঙ্গে সামঞ্জস্য মিলিয়ে মধ্যপানের চেষ্টা করুন। অত্যধিক খাবার খেয়ে অতিরিক্ত মদ খেলে যেমন শরীরের সমূহ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়, আবার হজমে সমস্যা হয়। আর খালি পেটে মদ খেলেও বিপদ। তাই রঙিন জলে ইতি টানুন।
৩) সঠিক সময় খান:
কী কী খাচ্ছেন, কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন; সেসব দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি কীভাবে খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন তাও কিন্তু খুব জরুরি। ডিনার আর দুপুরের খাওয়ারের মাঝে অন্তত চার পাঁচ ঘণ্টার ফারাক থাকা দরকার। লক্ষ্য রাখতে হবে বেশিক্ষণ যেন পেট খালি না থাকে। খেতে বসে কেমন গতিতে খাবেন সে বিষয়েও কিন্তু সজাগ থাকতে হবে। খাবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এক নাগাড়ে না খেয়ে, ধীরে সুস্থে আয়েশ করে, সময় নিয়ে খান। যা হজমে সাহায্য করে। খাওয়ার মাঝে একটু আধটু পানীয়েও তৃপ্তির চুমুক দিতে পারেন, এতে পেটের মঙ্গল হবে।
৪) একটু হাঁটা:
বাহারি আহারের পড়ে শুয়ে বসে গপ্পো করার বদলে বরং একটু হেঁটে নিন। বেশি না হলেও ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটা হজমের উপকার করবে। পেটও দিব্যি থাকবে।
৫) ডাক্তার ডাকুন:
শারীর যদি একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তবে আর অপেক্ষা নয়! দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দয়া করে নিজের ডাক্তারি বিদ্যে ফলাবেন না।