বিরিয়ানির প্যাকেটে সোনা পাচার! জড়িত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন!
কেরলের রাজনীতিতে ফের জলঘোলা শুরু হয়েছে সোনা পাচার কেলেঙ্কারি নিয়ে। নাম জিড়েয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের। তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে সোনা ভর্তি ব্যাগ ধরা পরার পরই সামনে এসেছিল সোনা পাচারের ঘটনা। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ এক সময়ে দুবাইয়ে ভারতীয় দূতাবাসে কাজ করতেন। স্বপ্না সুরেশের জবানবন্দিতে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে বলে দাবি।
জবানবন্দিতে স্বপ্না বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের কাছেও টাকা ও সোনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। টাকার ব্যাগ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছিল দুবাইয়ে। আর বিরিয়ানির কৌটোতে ভরে সোনা পাঠানো হয়েছিল তিরুঅনন্তপুরমে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাস ‘ক্লিফ হাউসে’। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের বক্তব্য, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে’ই এক জন অভিযুক্তের মাধ্যমে এই বয়ান দেওয়া হয়েছে।
স্বপ্না সুরেশকে গ্রেপ্তারের পরে সেই সূত্রে ধরা পড়েন কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এম শিবশঙ্কর। তদন্ত চালাচ্ছে ইডি, এনআইএ-সহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচির এক আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন স্বপ্না। সেই বয়ান অসম্পূর্ণ থাকায় আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার ফের তাঁর জবানবন্দি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
স্বপ্নার বয়ান অনুযায়ী, সোনা-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন, তাঁর স্ত্রী কমলা, মেয়ে বীণা, শিবশঙ্কর এবং প্রাক্তণ মন্ত্রী কে টি জলিল সুবিধা পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন আরব আমিরশাহি সফরে গিয়েছিলেন।