রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ঐতিহ্যবাহী ত্রিবেণীর সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নে উদ্যোগী বাঁশবেড়িয়া পুরসভা ও কেএমডিএ

June 9, 2022 | < 1 min read

ছবি সৌজন্যেঃ Durlav Photography

হুগলির ঐতিহ্যবাহী জনপদ ত্রিবেণী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক প্রাচীন ও পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। কথিত রয়েছে, গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী; এই তিন নদীর সঙ্গমস্থল হওয়ার কারণেই জায়গার নাম হয়েছে ত্রিবেণী। যদিও যমুনা বা সরস্বতীর প্রবাহ আজ আর নেই। ঐতিহ্যবাহী ত্রিবেণীর ধর্মীয় ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে, বিগত বছর থেকেই উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে।

তিথি মেনে ত্রিবেণীতে পুণ্যস্নান আয়োজন করা হয়। দূরদূরান্ত থেকে আসা সাধুসন্তরা এই পুণ্যস্নানকে কুম্ভস্নান বলে দাবি করেন। আগামী বছরগুলিতেও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ও তিথি মেনে কুম্ভস্নানের আয়োজন চলবে বলেও জানিয়েছেন সাধুরা। সেই কারণে বিপুল জনসমাগমের শঙ্কা করছে প্রশাসন। কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর স্নানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে তৎপর স্থানীয় বাঁশবেড়িয়া পুরসভা ও কেএমডিএ। ত্রিবেণী এলাকার মোট ১১টি গঙ্গার ঘাট সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যৌথভাবে বাঁশবেড়িয়া পুরসভা এবং কেএমডিএ এই কাজ করবে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বিগত বছর কোন প্রচার ছাড়াই প্রায় ৮০ হাজার মানুষ এখানে কুম্ভস্নান করতে এসেছিলেন। চলতি বছর সেই সংখ্যাটাই দু-লক্ষের গন্ডী পেরিয়ে যেতে পারে বলেই মনে করছেন পুরসভা ও পুলিস কর্তৃপক্ষ। ভিড় সামাল দিতে নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করছে তারা। ত্রিবেণী ছাড়াও, হংসেশ্বরী মন্দির, নেতা ধোপানির ঘাট, বেহুলা-লখিন্দরের ঘাটসহ এলাকার বিখ্যাত স্থানগুলোর সংস্কারের কথাও ভাবছে প্রশাসন। 

ইতিমধ্যেই কেএমডিএ ও পুরসভার প্রতিনিধিরা একাধিকবার ঘাটগুলি পরিদর্শন করে গিয়েছেন। এই বিষয়ে ৭ জুন কেএমডিএ অফিসে বৈঠক হয়। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর জানান, কুম্ভস্নানের কথা মাথায় রেখেই তারা পরিকল্পনা করছেন। তিনিই জানাচ্ছেন, পুরসভার তরফে ঘাটগুলি সংস্কার করা হবে। তাদের কথায়, ধর্মীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় তারা বদ্ধপরিকর।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Beautification, #KMDA, #tribeni ghat, #bashberia, #bashberia municipality

আরো দেখুন