বাংলা পৌঁছবে বিশ্বের দরবারে, ৪৩টি নতুন পণ্যের জিআই স্বীকৃতি পেতে তৎপর বাংলা
সূত্রের খবর, ১৩টি পণ্যের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ প্রশাসনিকস্তরে সারা হয়ে গিয়েছে। অন্য ৩০টি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ চলছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে।
Authored By:

বাংলা নিজস্ব শিল্পকলা, প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ন। এমন সমৃদ্ধ ভান্ডার দেশের অন্য কোন রাজ্যের আছে বলে মনে হয় না। বাংলার ঘরে ঘরে তৈরি, বাঙালিদের হাতের ছোঁয়ার শিল্প সামগ্রীর গোটা বিশ্বেই সমাদৃত। কিন্তু প্রচারে বা বিপণনে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে সেই সব সামগ্রী। ক্ষতি বাংলার। বাংলার ঐতিহ্য এবং বাংলার নিজস্ব সম্পদকে বাড়তি অক্সিজেন দিতে একইসঙ্গে ৪৩টি পণ্যের ভৌগোলিক স্বত্ব পেতে উদ্যোগী রাজ্য। প্রসঙ্গত, এক সঙ্গে এতগুলো পণ্যের ভৌগলিকস্বত্ব পাওয়ার জন্য আগে কখনও আবেদন করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের তরফে পণ্যগুলির জিআই ট্যাগের জন্য আবেদন করা হবে। সূত্রের খবর, ১৩টি পণ্যের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ প্রশাসনিকস্তরে সারা হয়ে গিয়েছে। অন্য ৩০টি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ চলছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, কোন নির্দিষ্ট জায়গায় কোন জিনিস বা পণ্য বা প্রাকৃতিক সম্পদ পাওয়া গেলে ওই নির্দিষ্ট এলাকাটি সেই পণ্য বা বস্তুর ভৌগোলিক স্বত্ব পেতে পারে। এই স্বত্ব পেতেই জিআইয়ের জন্য আবেদন করতে হয়। স্বত্বাধিকার লাভ করলে পণ্যের বিপণন ও রপ্তানি তার প্রচারের সুবিধা হয়। তাই বাংলায় প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। নবান্ন থেকেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
জিআই স্বীকৃতি পেতে, পণ্য যে এলাকার; সেই এলাকাকে প্রমাণ পেশ করতে হয়। বাংলার কোন পণ্যের ইতিহাস নিয়ে যদি কেউ গবেষণা করতে চান, সেক্ষেত্রে তাকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবেদ। রাজ্যের বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রীর কথায়, কেবল জিআইয়ের তকমা পেলেই হল না। জিআই তকমা পাওয়া পণ্যটি সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উপকারে আসবে কি না, তাও লক্ষ্য করতে হবে। প্রসঙ্গত, বাংলার ৩৫টি পণ্য ইতিমধ্যেই জিআই তকমা পেয়ে গিয়েছে। নতুন করে আরও সাতটি পণ্যের জিআইয়ের জন্য আবেদন করা হয়েছে। যার মধ্যে সুন্দরবনের মধু, গরদ, মসলিন ইত্যাদি রয়েছে।