৩ দিনেই ভবানীপুর হত্যাকাণ্ডের কিনারা, তিন ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশ
তিন দিনেই ভবানীপুর জোড়া খুনের কিনারা করল কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ৯ জুন তিন জনকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ।পুলিশ মনে করছে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে পারিবারিক বিবাদের জেরেই ভবানীপুরের দম্পতিদের খুন করা হয়েছে।
গত সোমবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়াতেই খুন হন শাহ দম্পতি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্যবসায়ী অশোক শাহকে ছুরি মেরে খুন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান, তাঁর স্ত্রী রশ্মিতা শাহকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ। ভবানীপুর হত্যাকাণ্ডে তিন ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। মৃতদের এক আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই তদন্ত এগিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়াল সাংবাদিক বৈঠকে জানান, হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রান্তকারী এখনও ফেরার। খুনের মাস্টারমাইন্ড মৃতের মেজ জামাইয়ের আত্মীয়। তার সঙ্গে ধৃতদের যোগাযোগ ছিল। ধৃতেরা লিলুয়ার বাসিন্দা। রত্নাকর নাথ, যতীন মেহেতাসহ আরও এক; মোট তিন জন ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানাচ্ছেন, তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল চক্রী এখনও অধরা। পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই খুনের ছক কষা হচ্ছিল। পুলিশ কমিশনার আরও জানিয়েছেন, শাহ পরিবারর কাছ থেকে তাদেরই এক জন আত্মীয় ২০১৯ সালে ১ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই ঋণের কারণেই খুন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শাহ দম্পতির ব্যবসায় মন্দা চলছিল। তারা তাঁদের মেজো জামাইয়ের এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। পাওনা অর্থ তারা মেটাননি বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। ঋণের টাকা মেটানো নিয়ে অনেকদিন ধরেই টালবাহানা করছিলেন অশোক শাহ। পুলিশের অনুমান, ঋণের বাকি টাকা না মেটানোয় শাহ দম্পতির এই পরিণতি হতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, তিন জন গ্রেপ্তার হলেও আরও কয়েকজনকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়া আরও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।