প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফল, প্রথম কোচবিহারের অদিশা
প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিকের ফল। এ বছর রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিকে সাত জেলায় পাশের হার ৯০ শতাংশের বেশি বলে জানালেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি। প্রথম থেকে দশম স্থান পর্যন্ত মেধা তালিকায় রয়েছে ২৭২ জন ছাত্রছাত্রী।
এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে দিনহাটার অদিশা দেবশর্মা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮। সে দিনহাটা সোনিদেবী জৈন হাইস্কুলের ছাত্রী। দ্বিতীয় হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সায়নদীপ সামন্ত। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭। সায়নদীপ পশ্চিম মেদিনীপুরের জলচক নটেশ্বরী উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র।
উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছে চারজন: রোহিন সেন, সোহন দাস, অভীক দাস এবং পরিচয় পারি। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। চতুর্থ স্থানে রয়েছে আটজন, পঞ্চম স্থানে ১১ জন, ষষ্ঠ স্থানে ৩২ জন, সপ্তমে ৩৭ জন, অষ্টমে ৫৫ জন, নবম ৫৪ জন এবং দশমে ৬৯ জন।
উচ্চমাধ্যমিকে সফল পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, “জেলার ছেলেমেয়েরা অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়েছে। শহরের পড়ুয়ারাও আমাদের গর্বিত করেছেন।” পড়ুয়াদের পাশাপাশি, শিক্ষক এবং মা-বাবাদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। যারা এবছর অকৃতকার্য হয়েছে, তাদের আগামী বছর আবার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হারের নিরিখে রাজ্যে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কালিম্পংসহ ৭ জেলায় পাশের হার ৯০ শতাংশেরও বেশি। চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার ৮৮.৪৪ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৮০ শতাংশ। মেয়েদের পাসের হার ৮৬.৫৮ শতাংশ।
শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, এবার প্রশ্নপত্র নিয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। এ বছর ২ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এবারই প্রথম হোম সেন্টারে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষ হয়েছিল ২৭ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষের ৪৪ দিনের মাথায় আজ ১০ জুম উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হল। ১০ দিন পর আগামী ২০ জুন পরীক্ষার্থীরা মার্কশিট হাতে পাবেন।
অন্যদিকে এবার উচ্চমাধ্যমিকে উর্দু ভাষায় প্রথম হয়েছেন ক্যালকাটা মাদ্রাসার মহম্মদ বিলাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৬। নেপালি ভাষায় প্রথম হয়েছেন কালিম্পং গার্লস হাইস্কুলের রিয়া কালিকোটে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৭ । এর পাশাপাশি সাঁওতালি ভাষায় প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়ার শিলি টুডু। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮।