রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মা ক্যান্টিন থেকে ১৫ মাসে দেড় কোটির বেশি ‘থালি’ পেয়েছেন গরিব মানুষ

June 11, 2022 | 2 min read

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কলকাতায় প্রথম শুরু হয় ‘মা ক্যান্টিন’। ধাপে ধাপে তা চালু হয় রাজ্যের ১২৭টি পুরসভা এলাকাতেই। মাত্র পাঁচ টাকায় রান্না করা ‘ডিম-ভাত’ থালি মাত্র ১৫ মাসেই দেড় কোটির বেশি গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণের রেকর্ড গড়ল রাজ্য।

জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে প্রতিদিন প্রায় ৫১ হাজার গরিব মানুষ খাবার সংগ্রহ করে সারা রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ২৫৫টি ’ মা ক্যান্টিন ’ থেকে। ‘মা ক্যান্টিন’ পরিচালনার দায়িত্ব নগরোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে থাকা স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (সুডা)। প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত হাজারো লোকের লম্বা লাইন থাকে মা ক্যান্টিনগুলির সামনে। প্রতি থালিতে থাকে পেট ভরা ভাত, একটি তরকারি ও ডিম। নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, ভবঘুরে এবং নিম্ন আয়ের বহু মানুষের পেট ভরে এখান থেকে।

এই পরিষেবা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি পোর্টালও বানিয়েছে নগরোন্নয়ন দপ্তর। এর মাধ্যমে হিসেব রাখা হয় কোন পুরসভা এলাকায় প্রতিদিন কত থালি খাবার বিতরণ হচ্ছে। সেই হিসাব বলছে, ২০২১’এর ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে চলতি মাস পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৫৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬৫০ ডিম-ভাত থালি বিতরণ করা হয়েছে।

পাঁচ টাকার ডিম-ভাত থালির জন্য যত চালের প্রয়োজন, তার গোটাটাই সরবরাহ করে রাজ্য। পাশাপাশি প্রতি থালির জন্য নিজের কোষাগার থেকে ১০ টাকা করে ‘ভর্তুকি’ দেয় রাজ্য সরকার।

এই মুহূর্তে কলকাতা পুরসভা এলাকায় ১২৩টি ‘মা ক্যান্টিন’ কেন্দ্র চলে। এখানে এখনও পর্যন্ত ৮৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯৮৫টি থালি বিতরণ করা হয়েছে। কলকাতার পর সর্বাধিক চারটি কেন্দ্র রয়েছে আসানসোলে, দুটি করে কেন্দ্র আছে মুর্শিদাবাদ পুরসভা, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা ও ডোমকল‌ পুরসভা এলাকায়। বাকি সমস্ত পুরসভা এলাকাতেই একটি করে কেন্দ্র রয়েছে। তবে কলকাতার পরেই সর্বাধিক (২ লক্ষ ২৮ হাজার ৩০) ডিম-ভাত থালি বিতরণ করা হয়েছে বনগাঁ পুরসভা এলাকায়। শিলিগুড়ি এবং জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা এলাকায় পরিবেশন করা হয়েছে যথাক্রমে ১ লক্ষ ৮২ হাজার ২৬০ এবং ১ লক্ষ ৮০ হাজার ২০৪টি থালি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#ma canteen, #Thaali, #West Bengal

আরো দেখুন