একাধিক আসনে লড়ার দিন শেষ, এক ব্যক্তি এক আসন নীতির পথে কমিশন?
একের অধিক আসনে দাঁড়িয়ে নির্বাচন লড়ার দিন শেষ? এবার থেকে একজন ব্যক্তিকে একটি আসন থেকেই ভোটে লড়তে হবে।জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে ছটি প্রস্তাব আইন মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়ে। এক ব্যক্তি এক কেন্দ্র প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছেন রাজনীতির কারবারিদের। এই প্রস্তাব গৃহীত হলেই, আর কোন ব্যক্তি একই সঙ্গে একাধিক আসন থেকে নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন না। একটি আসনেই লড়তে হবে। প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি একসঙ্গে দুটি কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়তে পারেন। ২০০৪ সালে এই বিষয়ে বদল আনতে চেয়ে, ৩৩(৭) ধারায় সংশোধন আনতে চেয়েছিল কমিশন।
ওপিনিয়ন বা এক্সিট পোলেও নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত, কোনরকম জনমত সমীক্ষা প্রকাশ না করার দাবিতেও প্রস্তাব জানিয়েছে কমিশন। যদিও জনমত সমীক্ষা নিয়ন্ত্রণের জন্য আগেই বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল দাবি জানিয়েছিল।
দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পেয়েই রাজীব কুমার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সংস্কারের পথে হাঁটতে চাইছেন। সূত্রের খবর, নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিধিতে বদল আনতে চেয়ে আইন মন্ত্রকের কাছে ছটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ড সংযুক্ত করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। মন্ত্রককে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করার অনুরোধও করা হয়েছে। কোন যোগ্য ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার জন্যে চারবার সুযোগ দেওয়ার কথাও প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজনৈতিক দলের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা যেমন নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে, ঠিক তেমনই এবার রাজনৈতিক দলগুলোর অনুমোদন বাতিলের ক্ষমতাও দেওয়া হোক কমিশনকে, এমনই দাবি করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রাজনৈতিক দলের খাতায়কলমে নাম রয়েছে, কিন্তু তারা নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেন না। কেবল দলের নাম ব্যবহার করেই নানাবিধ সুযোগ সুবিধা নেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য। এমন রাজনৈতিক দলগুলোর অনুমোদন বাতিল করতে চায় কমিশন।
এবার থেকে রাজনৈতিক দলে তহবিলে দুহাজার টাকার বেশি অনুদান দিলেই, দাতার নাম প্রকাশ্যে আনার প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ২০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিলেই, দাতার নাম প্রকাশ্যে আনতে হয়। অনুদান সংক্রান্ত ফর্ম ২৪এ সংশোধন করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।