দেশ বিভাগে ফিরে যান

মোদীর ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি কী ভোটের টোপ? কটাক্ষ বিরোধীদের

June 15, 2022 | 2 min read

ঠিক ভোটের আগে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ চাকরি দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ২০১৪ সালে তিনি গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বছরে ২ কোটি কর্মসংস্থানের। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, বিগত আট বছরে ১৬ কোটি কর্মসংস্থান হওয়ার কথা। কিন্তু সেই নিয়োগ হয় নি। উল্টে সেই স্লোগান ব্যর্থ করে ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ শিখরে উঠেছে বেকারত্বের হার।

পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে । ২০২৪ সালের সেই ভোটের দিকে তাকিয়ে মঙ্গলবার ফের চাকরির ‘টোপ’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার একেবারে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি দেবার কথা বলেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, মোদী নিজে বিভিন্ন মন্ত্রকের কোন দপ্তরে কত কর্মী রয়েছে কিংবা শূন্যপদের সংখ্যা কেমন ইত্যাদি রিভিউ করে দেখেছেন। এরপরই চাকরি দেওয়াকে একটি মিশন হিসেবে গ্রহণ করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিটি মন্ত্রককে। সেই মিশন শেষ করতে হবে আগামী দেড় বছরের মধ্যে।

হিসেব বলছে, কেন্দ্রীয় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় ৯ লক্ষ। আর মোদী বলেছেন, ১০ লক্ষ নিয়োগ করা হবে। অনুমোদিত সরকারি পদের তুলনায় কর্মীর সংখ্যা বেশি, এরকম নজির বিগত ৭৫ বছরে ভারতে আসেনি। সুতরাং ধরে নেওয়া যেতে পারে ১ লক্ষ নতুন পদ তৈরি করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।

মোদীর প্রতিশ্রুতিকে ভালো চোখে দেখছেন না বিরোধীরা। তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি আগেও দিয়েছিলেন। কিন্তু কী হয়েছে? প্রধানমন্ত্রী আগে জানান, কোন বিভাগে কোন গ্রেডে কতজন চাকরি পাবে।’

শূন্যপদ পূরণের সময়সীমা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বেঁধে দিয়েছেন মোদী। ওই একই সময়ে সমাপ্ত হবে অযোধ্যায় রামমন্দির। সুতরাং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদির দু’টি হাতিয়ার হতে পারে রামমন্দির এবং ১০ লক্ষ চাকরি। বিরোধীরা অবশ্য ভাবছে চাকরির ব্যাপারটা ভোটের টোপ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#India, #Narendra Modi, #job, #opposition, #employment

আরো দেখুন