২৪ ঘণ্টায় ছ’শো ছাড়াল, করোনা আতঙ্কে তিন জেলা
সোমবার স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন জানাচ্ছে, ৯৫১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬২৪ জন কোভিড পজিটিভের খোঁজ মিলেছে রাজ্যে।
পর পর তিন দিন পাঁচশোর ঘরে ছিল। চতুর্থ দিনে সওয়া ছ’শোয় পৌঁছে গেল রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতেই ডেঙ্গি যাতে মাথাব্যথার কারণ না হয়ে দাঁড়ায় তাই দপ্তরগুলি বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। সোমবার সকালে ডেঙ্গি মোকাবিলায় যুক্ত সমস্ত দপ্তরের সচিবদের নিয়ে কোর কমিটির বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, করোনা মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে যে বাড়ি বাড়ি সার্ভে চলছে সেই নজরদারির আওতায় এ বার যুক্ত হবে ডেঙ্গিও।
সূত্রের খবর, করোনার ‘অজুহাতে’ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গির নজরদারিতে খামতি দেওয়া চলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। করোনা মোকাবিলায় বাড়ি বাড়ি যে সার্ভে চলছে, তাতে ডেঙ্গির উপসর্গ জানার জন্য বাড়তি প্রশ্ন যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। প্রসঙ্গত, সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই রাজ্যের আড়াই কোটি বাড়িতে ১৬ কোটি বার (এক এক বাড়িতে বেশ কয়েক বার ভিজিট করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা) ভিজিট করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, ‘ওই ভিজিটের সময় ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ এবং প্রবল শ্বাসকষ্ট কারও আছে কি না, সেটা খুঁজে দেখেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ বার তাঁরা একই সঙ্গে ডেঙ্গির উপসর্গ আছে কি না, সেটাও দেখবেন।’ লকডাউনের জেরে বন্ধ থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যাতে ডেঙ্গির আঁতুড়ঘরে পরিণত না-হয়, তার দিকেই নজর দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে।

সোমবার স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন জানাচ্ছে, ৯৫১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬২৪ জন কোভিড পজিটিভের খোঁজ মিলেছে রাজ্যে। এর মধ্যে সর্বাধিক রোগী চিহ্নিত হয়েছেন কলকাতায় (১৮০), তার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (১২১) ও হাওড়া (৯৫)। ফলে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭,৯০৭। অবশ্য ৫২৬ জনের রোগমুক্তিও ঘটেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। ফলে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা বাংলায় হল ১১,৭১৯। করোনামুক্তির হার এখন ৬৫.৪৪%, যা সারা দেশের তুলনায় অনেকটাই ভালো। বর্তমানে করোনানিয়ে চিকিৎসাধীন (অ্যাক্টিভ কেস) ৫৫৩৫ জন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন টুইট করে জানান, কোভিডের মোকাবিলায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো যথেষ্টই ভালো। কিন্তু এর পরেও মাস্ক পরা, ফিজিক্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলার মতো বিষয়গুলিতে সকলকে জোর দিতে হবে। চিকিৎসাকর্মী-সহ সব ধরনের ‘ফ্রন্টলাইনার্স’ এবং স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বিলি করতে তাঁর সরকার যে তিন কোটি মাস্ক কিনছে, সে কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।