স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের টালাবাহানা রুখতে নজরদারি কমিটি গঠন রাজ্যের
সাধারণ মানুষকে বিন্যামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু নানা ক্ষেত্রেই একাধিক বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে নানারকম টালবাহানা করে। যার ফলে নাজেহাল হন সাধারণ মানুষ। এসব রুখতে এবং রোগী ও রোগীর পরিবারের স্বার্থ রক্ষায় কড়া উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা, সব পরিষেবা ঠিকমতো মিলছে কি না, তার উপর নজর রাখতে বিশেষ নজরদারি দল গঠন করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।
রাজ্যের এক স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে এই নজরদারি কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে। প্রত্যেক জেলাতেও নজরদারি কমিটি তৈরি করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। জেলাগুলির ক্ষেত্রে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন তরফে জানানো হয়েছে, এই বিশেষ নজরদারি কমিটি বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করবে। সরকারি হাসপাতালেও তারা পরিদর্শন চালাবেন।
ইতিপূর্বে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেওয়া নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ এসেছে রাজ্যের কাছে। বহু বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করার অভিযোগও উঠেছে। জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করা বেসরকারি হাসপাতালগুলোর লাইসেন্স কেড়ে নেওয়ার কথাও বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরপরেও অনেক বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগী ভর্তি নিচ্ছে না। জেলায় জেলায় এই রোগী ফিরিয়ে দেওয়া ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে হাসপাতালের টালাবাহানা অব্যাহত। তাই কড়া হাতে যাবতীয় টালাবাহানা দমনে নামল রাজ্য।