অগ্নিপথ বিতর্কে বিজেপির সঙ্গ ছাড়বেন নীতিশ? বিহারের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা
দেশজুড়ে চলছে অগ্নিপথ বিতর্ক। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুসছে জনতা। বিহারে সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা। সেই বিহারেই বিজেপি নীতিশ কুমারের সঙ্গে জোট সরকার চালাচ্ছে। অগ্নিপথ আবহে কোন পথে মোদী- নীতিশ জোটের ভবিষ্যৎ? জোর জল্পনা চলছে বিহারের রাজধানীতে।
অগ্নিপথ নিয়ে আজও নিরুত্তর নীতিশ কুমার, যে বিহারে সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ সেখানের মুখ্যমন্ত্রীর এই নীরবতা কি ঝড়ের পূর্বাভাস। তবে কি অগ্নিপথ বিতর্কই বিজেডি ও বিজেপির পথ আলাদা করবে? সরকার বাঁচাতে শেষপর্যন্ত তেজস্বী যাদবের সঙ্গে হাত ধরবেন নীতিশ? এই সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে বিজেপি ও জেডিইউর মধ্যে ইতিমধ্যেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু জোটসঙ্গীতে ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। দীর্ঘদিন ধরেই নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে, কিন্তু দিল্লির বিজেপি নীতিশকে ধরে রাখতে কার্যত মুখে কুলুপ দিয়েছেন। জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়েও জোটসঙ্গী বিজেপির সঙ্গে নীতিশের সম্পর্কের চিড় গভীর হয়েছিল। দুই দলের নেতাদের মধ্যে মুখ দেখাদেখিও নেই।
এরই মধ্যে অগ্নিপথের ঘোষণার পর থেকে বিহারে ট্রেন ভাঙচুর, অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুরের মতো ঘটনায় নিশ্চুপ থেকেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেয়নি নীতিশ সরকার। নোটবন্দী, লকডাউন জাতিভিত্তিক জনগণনা, অগ্নিপথ; কোনক্ষেত্রেই নীতিশের সঙ্গে আলোচনায় বসেনি বিজেপি। তাই নিরুত্তর থেকেছেন নীতিশ।
সূত্রের খবর রবিবার ১৯ জুন আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে ডাকা বিজেপির সমন্বয় কমিটির বৈঠকে নীতীশকে নিয়ে আলোচনা করে বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব। আলোচনা পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে নীতিশের মানভনজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নাড্ডাও নীতিশের সঙ্গে কথা বলবেন বলেই খবর মিলেছে। তবে কোনপথে বিহারের রাজনীতি, জোট ভেঙে পদ্মের হাত ছাড়বেন নীতিশ? সেদিকেই তাকিয়ে বিহারের রাজনীতি।