মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার চক্রান্ত করছে বিজেপি, অভিযোগ পাওয়ারের
মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকারের পতন কি আসন্ন? এই জল্পনার মাঝেই সরকার বাঁচাতে আসরে নামতে বাধ্য হলেন শরদ পাওয়ার। দিল্লিতে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা বলেন, কী এমন ঘটেছে, যার জন্য সরকার পড়ে যাবে? বিজেপি ফের সরকার ফেলার চক্রান্ত করছে বলে তোপ দাগলেন পাওয়ার। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে বিরোধীদের বৈঠকের পরই তিনি মুম্বই যাবেন। সেখানে উদ্ধব-সহ জোট শরিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি বলেন, ‘‘কিছু না কিছু সমাধান বেরবেই।’’
মঙ্গলবার উদ্ধব ঠাকরে মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্দের গায়েব হওয়ার ঘটনায় হইচই পড়ে যায়। এরপরই সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন শারদ পাওয়ার। এনসিপি প্রধান বলেন, ‘‘আড়াই বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার ষড়যন্ত্র হল।’’
শিন্দে বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো। তার সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ করতে পারছেন না শিবসেনার নেতারা। পালঘরের বিধায়ক শ্রীনিবাস, আলিগড়ের বিধায়ক মহেন্দ্র দালভি এবং ভিওয়ান্দি গ্রামীণের শান্তরাম মোরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে, শিবসেনার ১২জন বিধায়ক ছাড়াও সুরাটের হোটেলে আরও পাঁচজন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনে মহাবিকাশ আঘাদি শাসক জোট এবং বিজেপি পাঁচটি করে আসন জিতে যাওয়ার পরেই এমন খবর ছড়িয়েছে। বিজেপি পাঁচটি আসনেই লড়েছে, এবং জিতেছে। কংগ্রেস প্রার্থী এবং দলিত নেতা চন্দ্রকান্ত হন্দোর পরাজিত হওয়ায় ক্ষমতাসীন জোট সরকার ধাক্কা খেয়েছে।
একনাথ শিন্দে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দাবি করছেন বলেও রটে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে শরদ পাওয়ার বলেন, ‘‘একনাথ শিন্দে রাগ করেছেন কিনা জানি না। এটা শিবসেনার অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমার সঙ্গে ওঁর কোনও যোগাযোগ হয়নি।’’
একনাথ শিন্দে তাঁর অনুগামীদের নিয়ে গুজরাতের সুরাতে একটি হোটেলে গিয়ে উঠেছেন বলে খবর। মোট ১৯ জন বিধায়ককে নিয়ে তিনি বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই তথ্য খারিজ করে দিয়েছে শিবসেনা। সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন, ইতিমধ্যেই হদিশ পাওয়া গিয়েছে একনাথ শিন্দের। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের মতো এখানেও চক্রান্ত করা হচ্ছে। উদ্ধব ঠাকরে সরকর ফেলে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র রচনা করা হয়েছে। তবে শিবসেনা দলের সকলেই অনুগত। তাঁরা সকলেই আনুগত্য বজায় রাখবে।’’