পশ্চিম থেকে সোজা পূবে! সুরাত থেকে অসমে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী বিধায়করা
মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি সরকারের পতন কি আসন্ন? তবে কি বাণিজ্যনগরীতে আবার বোম্বাইয়ের বোম্বেটে শুরু হওয়ায় উপক্রম? শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি সরকারের মন্ত্রী তথা শিবসেনার নেতা একনাথ শিন্দে গতকাল সারাদিন গুজরাতের সুরাতের একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। এবার তিনি পৌঁছলেন অসমে। তার সঙ্গেই রয়েছেন প্রায় ৪০জন বিধায়ক। তবে কি উদ্ধব ঠাকরে সরকারের বিপদের ঘণ্টা বেজে গেল?
সূত্রের খবর, শিন্দে বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো। তার সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ করতে পারছেন না শিবসেনার নেতারা। পালঘরের বিধায়ক শ্রীনিবাস, আলিগড়ের বিধায়ক মহেন্দ্র দালভি এবং ভিওয়ান্দি গ্রামীণের শান্তরাম মোরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় একনাথ বলেন, ‘আমরা বালাসাহেব ঠাকরের শিবসেনা ত্যাগ করিনি। আমরা বালাসাহেবে হিন্দুত্বের নীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’ পাশাপাশি সাংবাদিকদের কাছে একনাথ দাবি করেন যে তাঁর সঙ্গে ৪০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। জানা গিয়েছে, গতকাল উদ্ধব ঠাকরে একনাথ শিন্ডেকে ফোন করে ১০ মিনিট কথা বলেছিলেন। তারপরই একনাথরা গুজরাট থেকে অসমে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে ফেলে।
মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদ নির্বাচনে মহাবিকাশ আঘাদি শাসক জোট এবং বিজেপি পাঁচটি করে আসন জিতে যাওয়ার পরেই বেসুরো শিন্দে। বিজেপি পাঁচটি আসনেই লড়েছে, এবং জিতেছে। কংগ্রেস প্রার্থী এবং দলিত নেতা চন্দ্রকান্ত হন্দোর পরাজিত হওয়ায় ক্ষমতাসীন জোট সরকার ধাক্কা খেয়েছে।
শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের জন্য সংকট আসন্ন বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে।
২০১৯ সালে শিবসেনা বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করার পরে, শিন্দেই বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পালন করেন। সরকার গঠিত হলে, তিনি পুর ও নগরোন্নয়ন এবং পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। এখন তিনি নিজেকে দলের মনে কোনঠাসা মনে করছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকাতেও তিনি ক্ষুব্ধ। এখন দেখার কোন পথে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি সরকারের ভবিষ্যৎ, আদৌ কি দলবদল দেখবে বাণিজ্যনগরী? নাকি নিরাপদ জোট সরকারের ভবিষ্যৎ? বিজেপির দাবি কি মিথ্যে? উত্তর পেতে কেবল সময়ের অপেক্ষা।