বিধান রায়ের কিছু তারকা রোগী
ঠাকুমা আদর করে নাম রেখেছিলেন ভজন। আর তাঁর ভাল নাম রাখার দিনে হাজির ছিলেন কেশবচন্দ্র সেন। যশোহরের রাজা প্রতাপাদিত্য, যিনি বিখ্যাত বারো ভুঁইঞার এক জন ছিলেন, বিধানবাবু সেই পরিবারের সদস্য। আর ডাঃ হিসেবে সাক্ষাত ধ্বন্বন্তরি।
দেখা যাক ডাঃ রায়ের রোগীর তালিকায় ছিলেন কোন বিখ্যাত মানুষ?
মতিলাল নেহেরুঃ এলাহাবাদের একজন বিখ্যাত আইনজীবী, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর বাবা। তিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম সক্রিয় কর্মীদের মধ্যে একজন। দু বার ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন।
মহাত্মা গান্ধীঃ অন্যতম ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রণী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী নেতা। সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা তিনি। ভারত সরকার সম্মানার্থে তাকে ভারতের জাতির জনক হিসেবে ঘোষণা করেছে।
জহরলাল নেহেরুঃ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবীদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। লেখক হিসেবেও নেহরু ছিলেন বিশিষ্ট।
কমলা নেহেরুঃ স্বাধীনতা সেনানী ও ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী।
বল্লভভাই প্যাটেলঃ- ভারতীয় পণ্ডিত ও জাতীয়তাবাদী নেতা। সর্দার প্যাটেল নামেই বেশী পরিচিত ছিলেন। তাকে ভারতের লৌহমানব বলা হয়। তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী।
ইন্দিরা গান্ধীঃ ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতের প্রথম ও আজ পর্যন্ত একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: অগ্রণী কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। প্রথম ভারতীয় নোবেল পুরস্কার প্রাপক।
জন এফ কেনেডিঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম রাষ্ট্রপতি। ইনিও বাংলার বরেণ্য ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের কাছে করিয়েছেন নিজের চিকিৎসা।