বিশ্বব্যাঙ্ক টাকা দেয়নি, আজ উদ্বোধন হল বাঙালির আত্মমর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতুর
শনিবার, ২৫ জুন বাংলাদেশের গৌরব আর আত্মমর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হল।
২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার সেতুটির পরিকল্পনা করে। প্রথমে এই সেতুর জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্কের অর্থ সাহায্য করার কথা ছিল । শেষ মুহূর্তে বিশ্ব ব্যাঙ্ক পিছিয়ে যায়। শেষে ২০১৫ সাল থেকে নিজের টাকায় পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে শেখ হাসিনা সরকার।
পদ্মা সেতুকে জলের মধ্যে ধরে রাখবে ৪০টি পিলার বা স্তম্ভ। প্রত্যেকটিই তৈরি হয়েছে মজবুত ইস্পাত দিয়ে। পাশাপাশি এই পিলারের আর একটি বিশেষত্ব রয়েছে। জলের নীচে ১২২ মিটার পর্যন্ত গভীরে গিয়েছে এই পিলারের ভিত। পৃথিবীর আর কোনও দেশে আর কোনও সেতুর স্তম্ভ এত গভীরে নেই। নিরাপত্তার আর একটি ব্যবস্থা পদ্মা সেতুর মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছে। পদ্মা সেতুর ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’ পৃথিবীর অন্য সব সেতুর চেয়ে অনেক বেশি। প্রায় ১০ হাজার টন। এই ক্ষমতায় এই সেতু রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পেও অনায়াসে টিকে যাবে।
প্রায় সাড়ে ছয় কিলেমিটার দীর্ঘ সেতু নদীর কাছাকাছি হলেও রেল ব্রিজ থেকে জলের দূরত্ব থাকবে অন্তত ১৮ মিটারের। এটি আসলে দোতলা সেতু। এর একতলায় অর্থাৎ নদীর কাছাকাছি চলবে ট্রেন। সামান্য উপরে চার লেনের চওড়া রাস্তায় চলবে সব রকম গাড়ি। প্রায় ১০ হাজার কোটি বাংলাদেশি মুদ্রা খরচ করে তৈরি হয়েছে এই পদ্মা সেতু।
২৫শে জুন পদ্মা সেতুর সড়ক পথ খুলে গেলেও রেলব্রিজটি শেষ হতে আরও ক’দিন সময় লাগবে, জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।