পার্থর কাছে তদ্বির করে নিজের স্ত্রীর বদলি করিয়েছিলেন সুকান্ত! ক্ষোভ বিজেপির অন্দরেই
তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তদ্বির করে নিজের স্ত্রীকে ঘরের কাছের স্কুলে বদলি করানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে। তিন বছর আগের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দলের অন্দরে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
অভিযোগ, বালুরঘাট থেকে জিতে সদ্য লোকসভার সদস্য হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তখন তাঁর স্ত্রী মালদহের সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। পরিবার নিয়ে মালদহের ফ্ল্যাটেই থাকতেন তিনি। কিন্তু সাংসদ হওয়ার পর নিজের জেলা বালুরঘাটেই ফিরে যান সুকান্ত মজুমদার। আর স্ত্রী কোয়েল চৌধুরী মালদহে আটকে পড়েন। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিজেপির পক্ষ থেকে শিক্ষিকা কোয়েলদেবীর বদলির আবেদন জমা পড়ে। আর বাড়ির কাছে বালুরঘাটের সানাপাড়া হাইস্কুলে বদলি হন তিনি।
রাজ্য সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন সুকান্ত মজুমদার। মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করলেও শাসকদলের তামাক খাওয়ার অভিযোগ উঠছে সুকান্তের বিরুদ্ধে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির সাফাই, “আমার স্ত্রীর বদলি মিউচুয়াল ট্রান্সফারের মাধ্যমে হয়েছিল। কোনও সুপারিশের মাধ্যমে এই আপস বদলি হয় না।”
সুকান্তর কথা খণ্ডন করে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার কাছে তখন ওঁর স্ত্রীর বদলি নিয়ে আবেদন এসেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজনীতির রং দেখে না। তাই ওঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে শিক্ষা দফতর কোয়েল চৌধুরীকে মালদহ থেকে বালুরঘাটের স্কুলে বদলিতে সিলমোহর দিয়েছিল। শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া জেনারেল কিংবা মিউচুয়াল ট্রান্সফার সম্ভব নয়।”
এই বিষয়ে বিজেপি নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। যে সুকান্ত মজুমদার দু’বেলা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চান, তাঁর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের।