গুজরাত, অসমের পর এবার গন্তব্য গোয়া! শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের বিলাসবহুল ভারত ভ্রমণ
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে শক্তি পরীক্ষার মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শিবসেনার মুখ্য সচেতক সুনীল প্রভু। রাজ্যপালের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন সুনীল।
মহারাষ্ট্রের রাজনীতি কোন পথে, তা নিয়ে গোটা দেশে জুড়ে যতই জল্পনা চলুক, তাতে কিন্তু শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের বিলাসবহুল জীবনযাপনে কোনও খামতি থাকছে না। তাঁরা ইতিমধ্যেই প্রায় গোটা ভারত ভ্রমণ করে ফেলেছেন! এবং তা অত্যন্ত রাজকিয় ভাবে। এবার তাঁদের গন্তব্য গোয়া।
বুধবার বিকেলে শিন্দে বাহিনী চার্টার্ড বিমানে ডামোলিন বিমানবন্দরের মাটি ছুঁতে চলেছে। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় অনাস্থা ভোটের জন্য বিশেষ অধিবেশন। মনে করা হচ্ছে, গোয়া থেকে সরাসরি মুম্বইয়ে পৌঁছবেন শিন্দেরা। গোয়ায় যাতে তাঁদের বিলাসের কোনও খামতি না থাকে তার জন্য পুরো ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমুদ্রতটের ধারে বিলাসবহুল হোটেল ‘তাজ রিসর্ট অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার’-এ ৭০টি ঘর ভাড়া হয়ে গিয়েছে। সেই ঘরগুলোতেই উঠবেন শিন্দে শিবিরের বিধায়করা। এই হোটেলে রাত্রিবাসে বিধায়কদের ‘সবরকম’ মনোরঞ্জনের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
বিদ্রোহী বিধায়কেরা গুজরাতের সুরাতে যে হোটেলে ছিলেন, সেই হোটেলের বিল এখনও বাকি রয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে খবর। হোটেলের রুমগুলি বুক করা হয়েছিল একজন সরকারি আধিকারিকের নামে। বকেয়া বিলের অধিকাংশটাই মদের। জানা গিয়েছে, গুজরাতে যেহেতু মদ বিক্র নিষিদ্ধ তাই ওই হোটেলে বিধায়কদের মদের জোগান দিতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছিল। তাই তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমে।
অসমে যে হোটেলে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়করা রয়েছেন, সেই হোটেল সূত্রে ওই বিধায়কদের যে দৈনন্দিন রুটিন পাওয়া গিয়েছে তা দেখলে অনেকের চক্ষু চড়কগাছ হয়েই যেতে পারে! দিন শুরু মর্নিং ওয়াক/ জিম/ সাঁতার/ স্পা দিয়ে। এরপর প্রাতরাশ। তাঁদের জন্য রয়েছে বিশেষ ডিসের ব্যবস্থা। তারপর সিনেমা, খবর দেখে হাল্কা মদ্যপান এবং পরে দুপুরের আহার। এরপর কিছুক্ষণের জন্য হাল্কা নিদ্রা। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে মিটিং, রাজনৈতিক রনকৌশল নিয়ে আলোচনা। তারপর হাই টি। তারপর ম্যাসাজ। ভাল করে ম্যাসাজ নিয়ে রাতের আহার যাওয়া। আহার শেষ করে কেউ যাচ্ছে হোটেলের ডিস্কে বা কারোর জন্য আয়োজন করা হচ্ছে মুজরা। এসবের শেষ করে ‘বিশেষ’ ম্যাসাজ নিয়ে ঘুম। বিশেষ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে এই সমস্ত খরচই বহন করছে অসম সরকার। এবার পালা গোয়ার বিজেপি সরাকেরর।