সঙ্গীর সঙ্গে লিভ-ইন করার কথা ভাবছেন? জেনে নিন সুবিধা কী হতে পারে
বিবাহিত জীবনের ঝুটঝামেলায় যেতে চান না পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষ এ যুগের অনেকে যুগলই। পশ্চিমের বিভিন্ন দেশে লিভ-ইন বা লিভ-টুগেদার প্রথা বেশ জনপ্রিয় অনেক আগে থেকেই। এবার ভারতের শহরগুলোতেও লিভ-ইনের সংখ্যা বাড়ছে , এদেশের শহুরে মানুষ মেনে নিয়েছে এরকম সম্পর্ক। এই লিভ-ইন সম্পর্কে সুবিধা কি? জেনে নিন।
সারা দিন কাজের পর খেটেখুটে অফিস থেকে ফিরে আসার পর যদি সঙ্গীর সঙ্গে চা খেতে খেতে দুটো গল্প করা যায়, দূর হয় একাকিত্ব। কিন্তু অন্যদিকে থাকেনা দাম্পত্ব জীবনের নানা অসুবিধা। রাতে একসঙ্গে ডিনার, আর সম্পর্ক গাঢ় হলে এক বিছানায় শুয়ে দৈহিক চাহিদা মেটানোর সুবিধাও আছে। দাম্পত্বের জটিলতা কাটাতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন লিভ-ইন সম্পর্ক।
প্রেমিকার সঙ্গে ভবিষ্যতে জীবন কাটানোর ইচ্ছে আছে। বিয়ের আগে পরখ করে দেখতে চান একে ওপরের জন্য কম্প্যাটিবল কিনা। পরে মানিয়ে উঠতে পারবেন তো সারা জীবন? একে ওপরের পছন্দ অপছন্দ নিয়ে কতটা কম্প্রোমাইজ করবেন? যাঁচিয়ে নিতে লিভ-টুগেদারের জুড়ি নেই।
কোনো রকম কমপ্লিকেশন ছাড়া কাটাতে পারবেন ছুটির দিন। দুজনের একাকিত্ব দূর হতে পারে, একসঙ্গে সিনেমা দেখা, খাবার খাওয়া বা বিছানায় খুনসুটিতে। সন্তান সন্ততির নাকি কান্না, শ্বশুর শাশুড়ি হঠাৎ এসে জুড়ে বসার ঝামেলা নেই।
রাত জেগে ফোনে খুনসুটি করতে হবে না। রাত অবধি সঙ্গীকে নিয়ে পার্টি করতে আর মানা থাকবে না। উইকএন্ডে একসঙ্গে সারারাত টিভি সিরিজ বিঞ্জওয়াচে থাকবে না বাধা। কেউ বলতে পারবে না, বাড়ি কখন যাবে। রাতে বাড়ি ছেড়ে আস্তে হবে না গার্লফ্রেন্ডকে। এগোলো লিভ-ইনের সুবিধা।
ফ্ল্যাটের ভাড়া, খাবার খরচ, দৈনন্দিন আরও নানান খরচ ভাগ করে দিতে হবে সঙ্গীর সঙ্গে। অর্থনৈতিকভাবেও সাশ্রয় লিভ-ইনে।
বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান? জানেন না সঙ্গীর সঙ্গে কি করে ভাগ করে নিতে হয় সব কিছু? তাহলে লিভ-ইন করে স্বাবলম্বী হন। দৈনন্দিন জীবনে নেওয়ার সঙ্গে দেওয়াটাও শিখতে এরকম সম্পর্কের জুড়ি নেই।