জুবেরকে গ্রেপ্তারের পিছনে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র গেরুয়া শিবিরের? সামনে আসছে তথ্য
সাংবাদিক এবং অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেরকে গ্রেপ্তারের পিছনে এক সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল। একটি বহুল প্রচারিত সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তদন্তে সেরকমই ইঙ্গিত মিলছে।
ওই সংবাদমাধ্যমের তদন্তে উঠে এসেছে গুজারাটের হিন্দু যুব বাহিনী’র (HYV) রাজ্য সভাপতি এবং বিজেপি’র যুবমোর্চার সহ-আহ্বায়ক বিকাশ আহিরের নাম। সে তাঁর একাধিক ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জুবের এবং অল্ট নিউজের বিরুদ্ধে এক বছরের বেশি সময় ধরে লাগাতার প্ররোচনামূলক প্রচার চালিয়ে গেছে।
ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তদন্তে উঠে এসেছে, আহিরের সঙ্গে যুক্ত সোশ্যাল মিডিয়ার ৭৭৫টি অ্যাকাউন্টের একটি ‘সংগঠিত’ নেটওয়ার্ক। যার মাধ্যমে ২০১৮ সাল থেকে অল্ট নিউজের অন্যতম সহ প্রতিষ্ঠাতা প্রতীক সিনহা, মহম্মদ জুবের-সহ দুই ফ্যাক্ট চ্যাকারকে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছে। ওই সাংবাদিকদের করা পুরনো টুইটার পোস্টগুলিকে খুঁজে তার ভুল ব্যাখ্যা করে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। ওই সাংবাদিকদের ‘‘হিন্দুফোবিক’’ বলে চিহ্নিত করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ট্যাগ করে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবি তোলে।
উল্লেখ্য, ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট অল্ট নিউজ মূলত খবরের সত্য-মিথ্যার বিশ্লেষণকে তুলে ধরে। তাদের ফ্যাক্ট চেকিং-এর আওতায় একাধিকবার ধরা পড়েছে গেরুয়া শিবিরের টুইট থেকে শুরু করে নানা ধরনের খবর। ১৯৮৩ সালে তৈরি এক ছবির দৃশ্য নিয়ে ২০১৮ সালে করা একটি টুইটের ভিত্তিতে ২০২২ সালে (২৭ জুন) অল্ট নিউজের সহপ্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে! যা নিয়ে দেশের বিভিন্নমহল থেকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে নেমেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। অভিযোগ করা হচ্ছে, জুবেরের গ্রেপ্তারির পিছনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র হাত রয়েছে।