দ্রাবিড়ের মন্ত্রেই এসেছে সাফল্য, শতরানের পর মন্তব্য পন্থের

পন্থের শতরানে মুগ্ধ দ্রাবিড়

July 3, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

পন্থের শতরানে মুগ্ধ দ্রাবিড়। শুক্রবার এক সময় চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে পাল্টা মার দিয়ে লড়াইয়ে ফেরান ঋষভ পন্থ। কাকে সাফল্যের কৃতিত্ব দিলেন তিনি। শুক্রবার ঋষভ পন্থ শতরান করার পরে সাজঘরে দেখা যায় এক অদ্ভুত দৃশ্য। দু’হাত মুঠো করে আসন ছেড়ে উঠে বসেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। হাততালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন। সাধারণত দ্রাবিড়কে কখনওই এত উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায় না। পন্থের শতরানে সেই দ্রাবিড়ই মুগ্ধ।

ম্যাচের পর পন্থ জানিয়েছেন, দ্রাবিড়ের মন্ত্রেই সাফল্য পেয়েছেন তিনি। পন্থের কথায়, “পর পর অনেকগুলো উইকেট হারানোর পর ক্রিজে এলে নিজেকে একটু সময় দিতে হয়। তাই আমার লক্ষ্য ছিল জাড্ডু ভাইয়ের (রবীন্দ্র জাডেজা) সঙ্গে জুটি তৈরি করা। চেয়েছিলাম চা-বিরতির আগে যেন আর উইকেট না পড়ে। সেটাই হয়েছে। দ্রাবিড় ভাই আমাকে বলেছিলেন যে একটা করে বল ধরে ধরে খেলতে এবং অন্য বিষয়ে মাথা না ঘামাতে। ছোট ছোট জুটি তৈরি করাই লক্ষ্য ছিল আমাকে।

২৫-৩০ রান তৈরি করে তার পরে বড় রানের দিকে এগোনো। শুরুতে চাপ ছিল। কিন্তু আমি নির্দিষ্ট অনুসরণ করেছি।” আগ্রাসী মানসিকতা দেখিয়ে ইংরেজ বোলারদের ছন্দ নষ্ট করে দেওয়া যে তাঁর লক্ষ্য ছিল, এটা মেনে নিয়েছেন পন্থ। বলেছচেন, “বিপক্ষের বোলারদের ছন্দ নষ্ট করে দেওয়া খুব দরকার ছিল। বিভিন্ন শট খেলার চেষ্টা করেছি। কখনও এগিয়ে এসে, কখনও ব্যাকফুটে খেলে ওদের ছন্দ নষ্ট করে দিতে চেয়েছিল। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল না। বোলার কী করতে চাইছে সেটা দেখে নিয়ে নিজের পরিকল্পনা সাজিয়েছি।”

আগ্রাসী ক্রিকেট খেললেও রক্ষণা করা ভুলে যাননি পন্থ। বলেছেন, “নিজের রক্ষণ নিয়ে অনেক খেটেছি। আমার কোচ তারক সিনহা অনেক দিন আগে আমাকে বলেছিলেন, কোনও বোলারকে আক্রমণ করতেই পারি। কিন্তু রক্ষণ ভুলে গেলে চলবে না। আমি প্রতিটা বল এখন দেখে নিয়ে তার পরে খেলি।

এক দিনের ক্রিকেটে হরমনপ্রীতের নেতৃত্ব নিয়ে খুশি দীপ্তি। মিতালি রাজের অবসরের পর এক দিনের ক্রিকেটে ভারতীয় মহিলা দলকে প্রথম বার নেতৃত্ব দিলেন হরমনপ্রীত কৌর। দীপ্তি বলেন, “সব সময় শান্ত মাথায় নেতৃত্ব দেয় হরমনপ্রীত। টি-টোয়েন্টি হোক বা এক দিনের ম্যাচ, কখনও চাপ দেখা যায় না ওর মধ্যে। খুব ভাল ভাবে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ও। মাথা ঠান্ডা থাকলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়। দল খুব খুশি ওর নেতৃত্বে।”

তিনি বলেন, “উইকেট কেমন হবে তা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম আমরা। জুটি গড়ার দিকে নজর দিচ্ছিলাম। প্রতি ওভারে তিন-চার রান নেওয়াই লক্ষ্য ছিল আমাদের। বড় জুটি গড়ে তাড়াতাড়ি ম্যাচ শেষ করার চেষ্টা করছিলাম আমরা।” ম্যাচ শেষ করে আসাই লক্ষ্য ছিল দীপ্তির। সেটা করতে পেরে এবং দলকে জেতাতে পেরে খুশি ভারতীয় অলরাউন্ডার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen