অগ্নিপথের বিকল্প কী? অনিশ্চয়তায় ভুগছে গোটা যুব প্রজন্ম
সরকার এখন এতই কঠোর যে হয় বলডোজার চলবে, নয়তো ক্যারিয়ার খারাপ হবে। এই সরকার বাহুবলী, মানুষকেই নত হতে হবে’। এই মন্তব্য বুলন্দশহরের সৈয়দপুর গ্রামের প্রধান বছর ৩৭-এর অমিত সিরোহির। এই গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছোট ছোট ছেলেরাই তাদের দাদা, বাবা এবং ভাইদের মতো সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখে।
গ্রামে প্রায় দু’হাজার পরিবারের বাস। অমিত সিরোহির কথায় এই দু’হাজারের মধ্যে কমপক্ষে ৮০০টি পরিবারেরই এমন কেউ আছেন যাঁরা সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করেছেন বা করছেন।
সরকার শসস্ত্র বাহিনীতে অফিসার পদমর্যাদার অধস্তন কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা করেছে। এই প্রকল্পে নিয়োগ করা জওয়ানদের বলা হবে অগ্নিবীর। এঁদের কাজের মেয়াদ চার বছর। নয়া প্রকল্পে প্রতি বছরপ্রায় ৪৫ হাজার সৈন্য নিয়োগ করা হবে। এঁদের মধ্যে থেকে ২৫ শতাংশকে নেওয়া হবে সেনার স্থায়ী ১৫ বছরের চাকরিতে। অগ্নিবীরদের কাজের মেয়াদ শেষে পেনশন নেই। পাবেন না সেনার অন্য কোনও সুযোগ-সুবিধাও।
গত মাসে কেন্দ্র অগ্নিবীর প্রকল্পে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগের ঘোষণা করা মাত্রাই দেশের বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ শুরু হয়। বেশ কয়েকটি রাজ্যে তা হিংসার আকার ধারণ করে। আলিগড়ে একটি পুলিশ ফাঁড়ি এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। ট্রেনের স্টেশনে হামলা চলে। সড়ক পথ অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। শত শত বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল এবং কমপক্ষে ৯ জন সেনা কোচিং সেন্টার অপারেটরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা মূলত চাকরিতে নিরাপত্তাহীনতাকেই সমস্যা বলে মনে করছেন।